জে পি নাড্ডায় কনভয়ে হামলাকাণ্ডে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দিলেন রাজ্যপাল। হামলার পর রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ডায়মন্ডহারবারে যাওয়ার পথে কি হয়েছিল ঘটনা? সেই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজভবনের কাছে চেয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

জানা যায়, আজ শুক্রবার সকালে বিস্তারিত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জমা দেন রাজ্যপাল ধনকড়। রাজ্যপালের রিপোর্টে যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কড়া পদক্ষেপ নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের রিপোর্টে উল্লেখ, নাড্ডার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না। রিপোর্টে রাজ্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে নাড্ডার কনভয়ে বেপরোয়া হামলা চলে। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর হয়। চোট পেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী।

গাড়ির কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। হামলার দায় শাসক তৃণমূলের কাঁধেই চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই সুর চড়িয়েছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে ওই দিন লিখেছেন, ‘বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজি-র কনভয়ে আক্রমণ খুবই নিন্দনীয় একটি ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। এই সংগঠিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’’

এরপরেই রাজভবনের কাছে রিপোর্ট চায় কেন্দ্র। সেই রিপোর্ট জমা সকালেই মন্ত্রকে জমা দিয়েছেন ধনকড়।

অন্যদিকে, আজ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানে তিনি বলেন, বহু দিন ধরেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিকবার আমার সাবধানতার পরেও রাজ্যে আইনের শাসন ও সাংবিধানিক স্বাধীনতা তলানিতে পৌঁছেছে।

ফলে আমার পক্ষে সংবিধান মেনে রাজ্যে শাসন করার কাজ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পরছে। গতকাল যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনা গণতন্ত্রের উপরে সরাসরি আঘাত। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী কি করে এমন ভাষা প্রয়োগ করেন’।

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।