কলকাতাঃ নাড্ডার কনভয়ে হামলায় আহত হয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর গাড়ি টার্গেট করেও ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে যায় গাড়ির কাচ। এমনকি মুকুল রায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরাও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। এমনকি, হামলায় আহত মুকুল রায় নিজেও।
জানা গিয়েছে, ডান হাতে চিড় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর হাতের আঙুলের ছবি দেন মুকুল রায়। করান এক্স-রেও। রিপোর্টে মুকুল রায়ের ডান হাতে লম্বা একটা চিড় পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই খবর দিল্লিতে পৌঁছতেই উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
শুক্রবার সকালেই তড়িঘড়ি ফোন আসে মুকুল রায়ের কাছে। ফোন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রায় ১০ মিনিট মুকুল রায়ের সঙ্গে অমিত শাহ কথা বলেন বলে জানা যায়। ডায়মন্ডহারবারে ঠিক কি ঘটেছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানেন বিজেপি নেতার কাছে।
জানা যায়, সেই ফোনালাপেই বাংলায় ফের আসার কথা মুকুল রায়কে অমিত শাহ জানান বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ততই চড়ছে। উন্নয়নকে ঢাল করে ক্ষমতায় থাকতে সচেষ্ট শাসক তৃণমূল। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বাংলায় পালাবদলে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার-কাণ্ড ঘটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিরাকোলে নাড্ডার কনভয়ে বেপরোয়া হামলা চলে। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর হয়। চোট পেয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মী।
শুধু মুকুল রায় নয়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতেই কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। কি হয়েছিল ঘটনা? তা বিস্তারিত ভাবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সবার শারীরিক অবস্থার খোঁজও নেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীদিনে বাংলায় আরও মাটি কামড়ে থেকে লড়াইয়ের বার্তা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে দেন প্রধানমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।