দিল্লি সীমান্তে আরও ৫০ হাজার প্রতিবাদী, কৃষকদের কাছে ফের 'প্রস্তাব' কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
কৃষকদের তরফে এখনও কোনও জবাব পায়নি কেন্দ্র। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র লিখিত ভাবে বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কৃষকদের। তবে কৃষি আইনের সেই প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলি খারিজ করেন কৃষক নেতারা। তারপরই ফের অচলাবস্থা শুরু হয় দুই পক্ষের। এই অবস্থায় এবার কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের কাছে আবেদন জানান যাতে তাঁরা প্রতিবাদ প্রত্যাহার করেন। এদিকে এরই মাঝে জানা গিয়েছে পাঞ্জাব থেকে আরও ৫০ হাজার কৃষক দিল্লি সীমান্তে আসছে ট্রাকে করে।

'আমাদের প্রস্তাব এখনও কৃষকদের কাছে রয়েছে'
এদিন এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের প্রস্তাব কৃষকদের কাছে রয়েছে। তাঁরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে এখও তাঁদের তরফে কোনও জবাব পাইনি আমরা। আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি যে তাঁরা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। তবে আমি গতকালও বলেছি যে কৃষকদের সঙ্গে আমরা সেই প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।'

'জনসাধারণের খুব সমস্যা হচ্ছে'
তিনি আরও বলেন, 'এই আন্দোলনের জেরে জনসাধারণের খুব সমস্যা হচ্ছে।'এদিকে কেন্দ্রের তরফে একপ্রকার হুমকি দিয়ে কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগামী ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করবেন তাঁরা। এছাড়া সেই একই দিনে আগ্রা-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া ১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে কেন্দ্র বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

আলোচনা করতে প্রস্তুত কেন্দ্র
নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, 'কৃষি আইন লোকসভা ও রাজ্যসভায় সমস্ত দলের আলোচনা ও সম্মতিতে প্রণয়ন করা হয়েছে৷ এই আইনে কৃষকদের স্বার্থের কোনও ক্ষতি হবে না৷ তবে কৃষকরা ক্রমাগত দাবি করে আসছে এই আইন বাতিল করতে হবে৷ তবে সরকারের তরফে আমরা আইনের যেখানে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ এখানে ইগোর কোনও ইস্যু নেই৷'

আইনের সবকিছুই কৃষকদের সুবিধার্থে
নতুন আইনে কৃষকদের জমি কৃষকদেরই থাকবে বলে মন্তব্য করেন নরেন্দ্র সিং তোমর৷ তিনি জানান, 'নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের জমি নিয়ে কোনও চুক্তি হবে না৷ শুধুমাত্র ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ফসলের মধ্যেই চুক্তি হবে৷ কৃষকদের জমি কৃষকদেরই থাকবে৷ আইনের সবকিছুই কৃষকদের সুবিধার্থে৷ যখন খুশি চুক্তি ভেঙে কৃষকরা তাদের ফসল বাইরে বিক্রি করতে পারবে৷ তবে ব্যবসায়ীরা চুক্তি ভাঙতে পারবে না৷'
অমিত শাহর আগে আগামীকালই রাজ্যে মোহন ভাগবত! হঠাৎ কেন বাংলায় আরএসএস প্রধান?