মমতাতেও নেই ভরসা! মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হতে না হতেই পদত্যাগ বনগাঁর দাপুটে তৃণমূল নেতার
ফের পদ ছেড়ে দলত্যাগের আভাস এক তৃণমূল নেতার। এবার ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ঘটনা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন বুধবার আচমকাই জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদে থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা রতন ঘোষ। যা ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। বুধবার মমতার সভাতেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

জেলাশাসকের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা
জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বারাসতে এসে জেলা পরিষদ ও জেলাশাসকের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত, তৃণণূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রতন ঘোষ। তবে, কী কারণে হঠাৎ তাঁর এই পদক্ষেপ, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ।

দলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয়
সূত্রের খবর, দলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তৃণমূল নেতা রতন ঘোষের। জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকলেও তিনি সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না বলে তাঁর ক্ষোভ ছিল বলে জানা যায়। সেই কারণেই সম্ভবত ওই নেতা এই পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হতে না হতেই পদত্যাগ
বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রীর সভা শেষ হতে না হতে এদিন বিকেলে আচমকাই সবার অলক্ষ্যে বারাসতে চলে আসেন বনগাঁর পোড় খাওয়া তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ। জেলা পরিষদ ও জেলাশাসকের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই তৃণমূল নেতা। তবে, এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি মুখ খুলতে চাননি। অভিযোগ, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকলেও স্বাধীনভাবে তিনি কাজ করতে পারছিলেন না। দলকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা।

তৃণমূলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া
দলের বিক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক বিধায়ক, মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতাদের নিয়ে যখন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নাজেহাল ঠিক তখনই জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদত্যাগ নিঃসন্দেহে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে বিধানসভা ভোটের মুখে যেভাবে ক্ষোভের তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হওয়ার ইঙ্গিত৷