মুম্বই: কোভিড-১৯ অতিমহামারীর মধ্যে প্রথমবার ঘরের মাঠে খেলতে চলেছেন বিরাট কোহলিরা৷ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে চলেছে কোহলি অ্যান্ড কোং৷

বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ভারত সফরের সূচি প্রকাশ করল বিসিসিআই৷ করোনার প্রকোপের পর এশিয়ার কোনও দেশে খেলতে আসবে ইংল্যান্ড৷ ভারতের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে তারা৷ চার টেস্টের সিরিজ ছাড়াও পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ এবং তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা৷ এদিন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সূচি নিশ্চিত করে৷

চার টেস্টের সিরিজের প্রথম দু’টি টেস্ট হবে চেন্নাইয়ে৷ চিপকে টেস্ট সিরিজ শুরু হবে ৫ ফেব্রুয়ারি৷ তবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি হবে ডে-নাইট৷ পিঙ্ক বল টেস্ট ম্যাচ এবং চতুর্থ টেস্টটি হবে আমদাবাদের নবনির্মিত মোতেরা স্টেডিয়ামে৷ এখানেই পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বিরাট কোহলি ও ইয়ন মর্গ্যানরা৷ তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিরা ওয়ান ডে সিরিজের সব ম্যাচগুলি হবে পুনেতে৷

চলতি বছর ভারতের মাটিতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের৷ কিন্তু করোনা অতিমহামারীর কারণে এই সিরিজ বাতিল হয়ে যায়৷ করোনা আবহে দেশের মাটিতে সিরিজ খেললেও ভারত সফর হতে চলেছে ইংল্যান্ড পূর্ণাঙ্গ সিরিজ৷

সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি হবে এক লক্ষ ১০ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট মোতেরা স্টেডিয়ামে৷ বোর্ডের তরফে এদিন এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ২৪ ফেব্ররুয়ারি থেকে আমদাবাদ গোলাপি হয়ে উঠবে৷ কারণ এখানে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি খেলা হবে রাতের আলোয়৷ বোর্জ সচিব জয় শাহ আমদাবাদে ভারত-ইংল্যান্ড ডে-নাইট টেস্টের নিশ্চয়তা কর জানান, এই সিরিজে আমাদের ফোকাস হল খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং আধিকারিকদের সেফটি৷ এ কথা মাথায় রেখে মাঠে দর্শকরা উপস্থিত থাকতে পারবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সূচি:

প্রথম টেস্ট ৫-৯ ফেব্রুয়ারি, চেন্নাই

দ্বিতীয় টেস্ট ১৩-১৭ ফেব্রুয়ারি, চেন্নাই

তৃতীয় টেস্ট ২৪-২৮ ফেব্রুয়ারি (ডে-নাইট), আমদাবাদ

চতুর্থ টেস্ট ৪-৮ মার্চ, আমদাবাদ

পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের সব ম্যাচগুলি হবে আমদাবাদে (১২, ১৪, ১৬, ১৮ ও ২০ মার্চ)

আর ওয়ান ডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হবে পুনেতে (২৩, ২৬ ও ২৮ মার্চ)৷

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।