ভাইপোর ইন্ধনেই ডায়মন্ডহারবারে বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা! সরব সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী
গোটা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা ( diamondharbour loksabha) কেন্দ্রে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলকে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (jp nadda) কনভয়ে হামলার পরে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন, সিপিআইএম-এর (cpim) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী (samik lahiri)।
পালস নেমেছিল ৪০-এ! বিজেপি ঘেউ ঘেউ করে, ব'লে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কাজের ব্যাখ্যা মমতার

ডায়মন্ডহারবার জুড়েই বিরোধীদের ওপরে হামলা
ডায়মন্ডহারবার জুড়েই চলছে বিরোধীদের ওপরে হামলা। কোথাও বিরোধীদের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। এদিন জেপি নাড্ডার ওপর হামলা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী। প্রসঙ্গত মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, বজবজ, বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, ফলতা, ডায়মন্ডহারবার নিয়ে এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র। সবকটি কেন্দ্রেই তৃণমূলের বিধায়ক। আর সাংসদ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত শমীক লাহিড়ী এই ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকেই ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সিপিএম সাংসদ ছিলেন।

সিপিএম-এর কর্মসূচিতে হামলা
শমীক লাহিড়ী বলেছেন, এর আগে তাঁরা যখন কৃষকদের দাবি নিয়ে, লড়াই করার জন্য জমায়েত করতে গিয়েছিলেন, সেই সময় সুজন চক্রবর্তী-সহ কুড়ি বাইশটি বাসের ওপরে হামলা করা হয়েছিল। এই বনধের আগে সিপিএম-এর তরফ থেকে যখন সরিষায় পুলিশের থেকে অনুমতি নিয়ে সভা করার সময় সেই সভার ওপরে হামলা হয়েছিল, স্টেজ ও মাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ফলতায় অলিখিত নির্দেশ জারি করা হয়েছে, সেখানে কেউ প্রচার করতে পারবে না।

জড়িত পুলিশ, ইন্ধন ভাইপোর
শমীক লাহিড়ীর অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের গুণ্ডারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ ভাইপোর ইন্ধনেই এই কাজ করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ ভাইপোর নেতৃত্বে গোটা ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে গণতন্ত্রের হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলকে কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না।

অন্ধকারের অবসান হবেই
সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক বলেন, এই পরিস্থিতি বেশিদিন চলতে পারে না। এর অবসান হবেই। তিনি বলেন, যাঁরা আজকের হামলাবাজ, তাঁরাই বিজেপিতে গিয়ে যোগ দেবে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যারা তৃণমূলের হয়ে হামলায় জড়িত তাদের একটা অংশ ডুবন্ত নৌকা থেকে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, এই দুই শক্তির কেউ গণতন্ত্র মানে না। এরা কেউ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মানে না। তিনি বলেন, সিপিএম-এর লড়াই হচ্ছে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার।
প্রসঙ্গত এদিন সকালে যেমন ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি কর্মীদের ওপর বাইকে সওয়ার দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়, ঠিক তেমনই মধ্যাহ্নে ডায়মন্ডহারবারে যাওয়ার পথে ডেপি নাড্ডার কনভয়ে ব্যাপকভাবে ইট ও পাথর বৃষ্টি করা হয়। ঘটনাটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যখন ছোট্ট ঘটনা বলছেন, অন্যদিকে একে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ এবং মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন সেখানকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।