হঠাৎ 'ইউ-টার্ন', কৃষি আইন ইস্যুতে কংগ্রেসের হাত ছাড়ল শরিক দল! সমর্থন বিজেপিকে
যেখানে কৃষি আইনের জেরে দেশজুড়ে বিজেপিকে খোয়াতে হয়েছে একের এপর এক শরিক দলকে। সেখানে হঠাৎই কৃষি আইন নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে সবাইকে অবাক করে দিল কংগ্রেসের শরিক দল জেডিএস-এর নেতা এইচডি কুমারস্বামী। এই অভিনব ইউ-টার্নে হঠাৎই তোলপাড় কর্ণাটকের রাজনীতি। এই ইউ-ট্রার্নের প্রভাব পড়তে পারে জাতীয় ক্ষেত্রেও।

বিজেপিকে সমর্থন জানান কুমারস্বামী
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরব কংগ্রেস এবং অ-বিজেপি দলগুলি। সেই মতো কর্ণাটকেও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় শামিল হয়েছিল জেডিএস। দুই দিন আগেই কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিজেপিকে তোপও দেগেছিলেন কুমারস্বামী। তবে এদিন কর্ণাটকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিজেপিকে সমর্থন জানান কুমারস্বামী।

কুমারস্বমীর ইউ-টার্নের পর কংগ্রেসের আক্রমণ
এদিন কৃষি আইন নিয়ে বলতে গিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের ব্যবসায়ী আখ্যা দেন কুমারস্বামী। এদিকে দুই দিন আগেও হাতে হাত ধরে বিজেপি বিরোধিতা করা কংগ্রেস-জেডিএস এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে শত্রু। কুমারস্বামীর ইউ-টার্নের পর কংগ্রেস ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছে তাঁকে এবং জেডিএসকে।

কুমারস্বামীর সিদ্ধান্তে হতবাক জেডিএস কর্মীরাই
এদিকে জানা গিয়েছে যে কুমারস্বামীর এই সিদ্ধান্তে হতবাক এবং ক্ষুব্ধ জেডিএস-এর বহু কর্মী সমর্থকও। জেডিএস-এর নেতারা নিজেদের মাটির সন্তান হিসাবে আখ্যা দেন। তাদের রাজনীতি জড়িয়ে রয়েছে কৃষক স্বার্থের সঙ্গে। সেখানে কৃষক আন্দোলনের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপিকে সমর্থন করার প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পারছে নিচু তলার কর্মীরা।

বড়সড় আন্দোলনে নামার ঘোষণা কৃষকদের
এদিকে কৃষকরা ইতিমধ্যেই বড়সড় আন্দোলনে নামার কথা ঘোষণা করেছে। ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর ও দিল্লি-আগ্রা জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে। এছাড়াও ১৪ ডিসেম্বর একাধিক জায়গায় বিজেপি অফিস ঘেরাও করার ডাকও দিয়েছে তারা। সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভও দেখানো হবে। তবে এবার এই কৃষক বিক্ষোভের অংশ হিসাবে হয়ত দেখা যাবে না জেডিএস-এর নেতা কর্মীদের।
মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ঘর গোছাচ্ছেন শুভেন্দু! নয়া পথ চলা শুরু নন্দীগ্রাম থেকেই