মমতা সরকারের রিপোর্ট কার্ড: অর্থ থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান, পরিস্থিতি তুলে ধরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বাংলার শিক্ষা ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজ করেছে, ও বিভিন্ন রাজ্যসরকারী স্কিমে কীভাবে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তার খতিয়ান এদিন বাংলার সরকারের রিপোর্ট কার্ডে তুলে ধরা হয়। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তা ছাড়াও এদিন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের রিপোর্ট কার্ড দলের কর্মীরা ২৯৪ টি বিধানসভায় তুলে ধরবে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা পৌঁছে দেবে।

শিক্ষা সহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রকের কয়েকটি প্রকল্প ও তাতে ব্য়য়বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিক্ষা,ক্রীড়া ক্ষেত্রে ব্যায়ববরাদ্দ ১৩ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা থেকে তার তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।২০২০- ২০২১ আর্থিক বর্ষে ৩৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ওই খাতে। যা ২০১০ ২০১১ সালে তিনগুণ কম ছিল।

কন্যাশ্রীতে সুবিধা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কন্যাশ্রীতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, ২০১৭ সলে ইউএনের কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মান প্রাপ্তির কথা স্মরণ করিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে ৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা ব্যায়ের মাধ্যমে ৬৭. ২৯ লক্ষ উপভোক্তাকে শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে আর্থিক সাহায্য হয়েছে।

সুবজ সাথী ও সাইকেল বিতরণ
সবুজসাথী মমতা প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন, এটি মুখ্যমন্ত্রীরই মস্তিষ্ক প্রসূত সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সকলের শিক্ষার জন্য এই প্রকল্প। ৮৪ লক্ষ সাইকেল বিতরণ । জাতি সংঘের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত এই প্রকল্পে ৯২ লক্ষ পড়ুয়া পোশাক পেয়েছেন ,১১৩ লক্ষ পড়ুয়া মিডডে মিলের অন্তর্ভূক্ত।

পরিকাঠামো
পরিকাঠামো খাতে রাজ্যের কাজের খতিয়ানে তিনি বলেন, ২০১০ থকে ৩০ টি নতুন বিশ্ববিদ্য়ালয় ৫০ টি নতুন কলেজ , ৭৮ টি কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ৩৬ টি পলিটেকনিক, ৯৫ হাজার ৩৭৮ টি বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ। এছাড়াও স্কিম , স্কালশিপ রয়েছে। এডুকেশন ফাস্ট বই আছে। এরপর 'লার্নিং গিভস ক্রিয়েটিভিটি...' আবুল কালামের বার্তা দিয়ে শেষ করলেন পার্থ।