কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যের পরিস্থিতি। বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাচ্ছিলেন, তখনই গাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি হয়। শুধু নাড্ডা নন, আক্রান্ত হন একাধিক কর্মী সমর্থক। ছিলেন অনুওম হাজরাও। বাদ যায়নি তাঁর গাড়ি।

এদিন তাঁর গাড়ির মধ্যে এসে পড়ে পাথর। সেই ছবিই পোস্ট করলেন রাজ্য বিজেপির এই নেতা।

এদিন ভাঙা টুকরোর ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, মাস কয়েক বাদেই নাকি এর সুদে আসলে জবাব দেওয়া হবে তৃণমূলনেত্রীকে।

বৃহস্পতিবার ছিল অনুপম হাজরার জন্মদিন। আর তাই সকাল সকাল চকোলেট খাইয়েছেন জেপি নাড্ডা। আর তারপরই এমন আক্রমণের শিকার।

অনুপম হাজরা এদিন kolkata24x7-কে জানান কীভাবে এদিন আক্রমণ করে বিরোধীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে এদিন জবাব দেন অনুপম।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডায়মন্ডহারবারে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নাড্ডার সঙ্গেই অন্য গাড়িতে যাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাীশ বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরারা। শিরাকোলে কনভয় পৌঁছোতেই রাস্তার দুধার থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। জেপি নাড্ডার গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরই মধ্যে পরপর গাড়ির কাচে ধেয়ে আসে ইট, কাচের বোতল।

একের পর এক গাড়িতে বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কাচের বোতলের টুকরো লেগে জখম হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। চোট পেয়েছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। রাস্তার দুপাস থেকে উড়ে আসা ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে যায়।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘পরিকল্পিতভাবেই হামলা চানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও নালিশ জানাব। পুলিশের সামনেই হামলা হয়েছে। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।’’

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।