দিলীপ-ঘনিষ্ঠ চার নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েও পদহীন, একুশের আগে অসন্তোষ বাড়ছে
দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চার নেতা দলবদল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। কিন্তু তৃণমূলে এসেও তাঁরা কোনও গুরুত্ব পাননি, পাননি পদ। তাই ২০২১-এর আগে তাঁরা ফের বেঁকে বসতে শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে খড়গপুর সদরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার দরবার করলেন তৃণমূল নেত্রীর কাছে। একুশের আগে বিজেপি ছেড়ে আসা নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব প্রদানের আর্জি জানালেন।

দিলীপের ডানহাত-সহ চার বিজেপি নেতা তৃণমূলে পদহীন
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরই দিলীপ ঘোষের নিজের কেন্দ্র খড়গপুর সদরে হার মানতে হয়েছিল বিজেপিকে। তৃণমূলের প্রদীপ সরকার হয়েছিলেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক। তারপরই প্রদীপবাবুর হাত ধরে দিলীপ ঘোষের ডানহাত-সহ চার বিজেপি নেতা যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁরা এখনও কোনও পদ না পাওয়ায় মমতার কাছে দরবা করলেন বিধায়কষ

বিজেপি ছেড়ে পদ পাননি যাঁরা, পাননি গুরুদায়িত্বও
ভারতীয় জনবতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়নের জেলা সভাপতি শৈলেন্দর সিং, বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গুহ-সহ তার নেতার সঙ্গে মোট ২৬ জন বিজেপি ছেড়েছিলেন। তাঁরা কেউই তৃণমূলে আসার পর পদ পাননি, পাননি কোনও গুরুদায়িত্বও। স্বভাবতই তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের গুরুত্বের বার্তা দিলেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার।

দলের স্বার্থে কোনও কাজের সুযোগ করে দেওয়ার আর্জি
খড়গপুরের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন। জানিয়েছে, বিজেপি থেকে অনেকে এসেছিলেন তৃণমূলে। ওঁদের দলের স্বার্থে কোনও কাজের সুযোগ করে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার সময় প্রদীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা প্রয়াত সাংসদ নারায়ণ চৌবের পুত্রবধূ হেমা।

বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের তৃণমূলে পদপ্রাপ্তি বিবেচনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বকে জানান হেমা চৌবেকে জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি করে দেওয়ার কথা। আর বিজেপি ছেড়ে আসা শৈলেন্দর সিং ও রাজদীপ গুহ, সজল রায়দের পদ দেওয়ার আর্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে দেখছেন বলে জানান। প্রদীপের আশা, বিজেপি ছেড়ে আসা নেতাদের কথাও বিবেচনা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
গুহ, সজল রায়দেরও পদ দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন প্রদীপ। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও কথা দেননি নেত্রী। ফলে প্রদীপকে কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই দিদির কাছে দরবার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মন বুঝতে এবার দুর্গাপুরের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা! জল্পনা বাড়ালেন বরো চেয়ারম্যান