মমতার 'অভিমানে সরে যেতে পারি' থেকে 'মন খারাপ হয়ে গেল' বার্তার পর বনগাঁর সভা শেষে হাওয়া কেমন
গত দশ বছরে বাংলার রাজনীতির চক্রপাক কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে বহুভাবে আবর্তিত হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ যখন বিধানসভা ভোটের দিকে এগোচ্ছে তখন একাধিক তৃণমূল নেতা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। অনেকেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এর মাঝে এদিন বনগাঁর সভায় কয়েকজন প্ল্যাকার্ড হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে নিজেদের দাবি দাওয়া জানান। এরপরই আবেগী মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক বার্তা দেন। সভা শেষে মুখ খোলেন প্ল্যাকার্ডধারী মানুষও।


আচমকা ছন্দপতন মমতার সভায়
মমতার ভাষণের সূর্য কার্যত তখন মধ্যগগনে। একের পর এক ইস্যুতে রাজ্যসরকার কতটা কাজ করেছে তা বনগাঁর সভায় খতিয়ান দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই কয়েকজন উঠে নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরতে চান। ব্যারিকেড ভেঙে কয়েকজন এগিয়ে আসতে চান। তারপর বোঝা যায় ভিআরপি কর্মীরা ভাতা বাড়ানোর দাবি করছেন।

প্ল্যাকার্ড বিতর্কে ক্ষুব্ধ মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভার তাল কাটতেই ক্ষভে ফুঁসে ওঠেন। তিনি বলেন, আাকে প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে লাভ নেই। ' কোনও দাবি দাওয়া থাকলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জানান। উপায় থাকলেই ব্যবস্থা করা হবে। '

'মন খারাপ হয়ে গেল'
এরপর সভার শেষের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, 'কিথু মনে করবেন না , আপনাদের কয়েকজনের জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।' তিনি এদিনের সভায় সাফ জানিয়েছেন, এত উন্নয়ন সত্ত্বেও তাংকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে তিনি অভিমানী। জননেত্রী বলেন, ' আমাকে দুঃখ দিলে আমি অভিমান করে সরে যেতে পারি'।

দিদিকে কাছে পাওয়া ও ভিআরপি কর্মীদের প্রতিক্রিয়া
তার জন্য ১৭৫ টাকা হিসাবে দেওয়া হয় ২০ দিনের কাজের হারে টাকা পান ভিরআপি কর্মীরা। এই দাবি বনগাঁয় মমতার সভায় আচমকা সরহ হওয়া ভিআরপি কর্মীদের। নিজেদের মনের কথা দিদিকে কাছে পেয়েই এদিন তাঁরা বলতে যান বলে দাবি করছেন তাঁরা। তবে শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর সভার ছন্দ কাটতেই এই সভায় আসা কর্মীরা বলেন, ' মেন হল দিদি আমাদের উপর একটু রেগে গিয়েছেন'। এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে তাঁর জানান, 'বিধানসভা নির্বাচনের সময় দিদি আমাদের কিছু প্রতিশ্রুতি দেন। সেগুলো এখনও হয়নি। তাই আজ আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে এসেছিলাম। '
শুভেন্দুই হয়তো জানেন না তাঁর নামে পোস্টার পড়ছে, জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূলের মন্ত্রী