কলকাতা: একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে করোনা৷ এবার আরও এক কলকাতা পুলিশ কর্মীর প্রাণ নিল মারণ ভাইরাস করোনা৷
লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা আর্মড পুলিশের ষষ্ঠ ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সমীর কুমার নাথ। ডেপুটেশনে কর্মরত ছিলেন সাউথ ডিভিশনে। একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ভর্তি হন হাসপাতালে। সেখানেই তিনি প্রাণ হারান৷ প্রয়াত সহকর্মীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে কলকাতা পুলিশ আছে, এবং থাকবে সর্বতোভাবে৷
এর আগেও করোনায় অনেক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর মানব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়৷ তারপরের দিন করোনার বলি হন কনস্টেবল কমল কৃষ্ণ বল৷
লালবাজার জানিয়েছিল, কনস্টেবল কমল কৃষ্ণ বল। কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত ছিলেন। একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ভর্তি হন হাসপাতালে৷ সেখানেই প্রাণ হারালেন৷
এছাড়া করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাব ইনস্পেক্টর মানব বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। কমল কৃষ্ণ বল এর মত মানববাবুও একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে৷
তার আগে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর সঞ্জয় সিংহের৷ তিনি কলকাতা আর্মড পুলিশের তৃতীয় ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন৷ তিনিও একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই প্রাণ হারান৷
তারও আগে নবমীতে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল মনোজ কুমার সিং এর৷ তিনি কলকাতা পুলিশের পোর্ট ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন৷ এই যোদ্ধাও একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনার সঙ্গে৷ শেষ করোনাই তার প্রাণ কেড়ে নিল৷ তারও আগে পুলিশ শহিদ স্মৃতি দিবসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর৷
লালবাজার জানিয়েছিল, ‘সাব ইনস্পেক্টর হারাধন দাস৷ সার্ভে পার্ক থানায় কর্মরত ছিলেন৷ একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছিলেন করোনা-যুদ্ধে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে৷ সেখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন৷
কিন্তু একের পর এক যোদ্ধাকে হারালেও এখনও করোনার বিরুদ্ধে একেবারে সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ৷