ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! এবার কাণ্ড কোচবিহারে
ফের বিজেপি ( bjp) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এবারের ঘটনা কোচবিহারের তুফানগঞ্জের। এদিন সকালে অন্দরান ফুলবারি বালিকা বিদ্যালয়ের সাইকেল স্ট্যান্ডে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখেন এলাকাবাসীরা। বিজেপি কর্মী স্বপন দাসের গলায় দড়ির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে প্যান্ডেলের কাপড়। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের (trinamool congress) দুষ্কৃতীরাই তাঁকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।

বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজনীতির পারদও ততই চড়ছে। এরই মধ্যে ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাস্থল কোচবিহারের তুফাগঞ্জ মহকুমার অন্দরান ফুলবাড়ির সুভাষ পল্লী। দেহ উদ্ধারের পর এদিন সকালে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি মৃতদেহ নিয়ে বারবার রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তুফানগঞ্জ বিধানসভার অন্দরান ফুলবাড়ি একনম্বর অঞ্চলের ১৯২ বুথের বুথ কমিটির সদস্য স্বপন দাস। দিনের বেলায় তাঁর খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে অন্দরান ফুলবারি বালিকা বিদ্যালয়ের সাইকেল স্ট্যান্ডে স্বপন দাসের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বপন দসের স্ত্রী চুমকি দায় জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্বামী এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।

তদন্তে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ
এদিন সকালে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের দাবি স্বপন দাসের গলায় দড়ির পরিবর্তমে প্যান্ডেলের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁর পা দুটি মাটিতে ঠেকে রয়েছে। আশপাশে প্রচুর রক্তের দাগ এবং জমাট বাঁকা রক্ত দেখা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় যায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।

আগেই একইভাবে একাধিক দেহ উদ্ধার
এর আগেও একইভাবে থাকা বিধায়ক থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেহ। অক্টোবর মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপি কর্মী বাচ্চু বেরার দেহ গলায় গামছা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর পা মাটিতে লেগে ছিল। এই পরম্পরা শুরু হয়েছিল ২০১৯-এর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। সেই সময় পুরুলিয়ার আড়শার সেনাবোনা গ্রামে থুলে থাকা অবস্থায় বিজেপি কর্মী শিশুপাল সহিসের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। কোনও ক্ষেত্রেই অবশ্য খুনের অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি।
মতুয়ারা সকলেই নাগরিক, নাগরিকদের আবার নাগরিকত্ব দেবে বিজেপি! বার্তা মমতার