হাতে দলীয় প্রচারপত্র! মমতার কেন্দ্র ভবানীপুরে দুয়ারে দুয়ারে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বাঁকুড়া থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ঘোষণার পরেই রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল তারা তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর নয় অন্যায় কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরে এদিন সেই কর্মসূচিতেই অংশ নিলেন বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda)।

দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, এখন থেকে প্রতিমাসেই রাজ্যে আসবেন জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহ। সেই মতো বুধবার বেলা এগারোটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। ছিলেন রাহুল সিনহার মতো নেতারাও। সেখান থেকে তিনি সোজা চলে আসেন হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে।

বিহার দেখিয়েছে, বাংলাও দেখাবে
জেপি নাড্ডা বলেন, বিহার দেখিয়ে দিয়েছেন, সেখানে বিজেপির সরকার গঠন হয়েছে। এবার বাংলাও দেখাবে। প্রসঙ্গত বিহারের নির্বাচনে অনেক ভোট বিশেষজ্ঞ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এবার সেখানে কোনওভাবেই বিজেপির সরকার হচ্ছে না। কিন্তু পরে আসন কম পেলেও নীতীশ কুমারের মুখ বাঁচায় বিজেপি। দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।

রাজ্যে বিজেপিকে কেউ ঠেকাতে পারবে না
এদিন হেস্টিংস-এ কার্যালয় উদ্বোধন করতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, এই রাজ্যে বিজেপিকে কেউ ঠেকাতে পারবেন না। ২০০-র বেশি আসন নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসবেন বলেও দাবি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ভাষণে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করার ডাক দেন। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে রাজ্যে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে।

ভবানীপুরে আর নয় অন্যায় কর্মসূচিতে জেপি নাড্ডা
বিজেপির রাজ্য নেতারা বিভিন্ন জায়গায় আর নয় অন্যায় কর্মসূচি শুরু করেছিলেন আগেই। কিন্তু ভবানীপুরে এই কর্মসূচি শুরুর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। সেই মতো এদিন বিকেলে তিনি ভবানীপুরে একাধিক বাড়িতে যান। এর আগে এই কর্মসূচি উপলক্ষে বিজেপির পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানারে এলাকাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সেই সাজানো রাস্তার দিয়েই একটি অপরিসর গলিতে ঢোকেন জেপি নাড্ডা। তবে সেখানে তিনি যে সাতটি বাড়িতে যাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। জেপি নাড্ডাকে দেখে সেই অপরিসর গলিতে মানুষের ঢল নামে। বিজেপি সভাপতিকে সামনে থেকে দেখতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। ভবানীপুরের সভা শেষ করে জেপি নাড্ডা রওনা দেন আইসিসিআর-এর দিকে।
বিধায়ককে বাদ দিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে, টিম পিকে-র জেরেই আরও চওড়া তৃণমূলের ফাটল