উন্নয়ন নিয়ে প্রচার! বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড তৃণমূলের
২০২১-এ সর্বভারতীয় বিজেপি (bjp) নেতৃত্বের পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে গত সাড়ে নয়বছরের ওপর সময় ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। তারাও সহজে ছাড়বে কেন। বিজেপির প্রচারের মোকাবিলায় এবার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করতে চলেছে তারা।

তৃণমূল ভবন থেকে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.১৫-এ তৃণমূল ভবন থেকে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হবে। এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক দফতরের মন্ত্রীরা এবং সাংসদরা। ১০ বছরে কী কী কাজ করা হয়েছে, কোন কোন প্রকল্পে কাজ করা হয়েছে, কীভাবে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সব কিছু এই রিপোর্ট কার্ডে তুলে ধরা হবে বলে সূত্রের খবর।

বিজেপি-সহ বিরোধীদের প্রচার
বিজেপির তরফে প্রচারে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, আয়ুষ্মাণ ভারত কিংবা কৃষক সম্মাননিধির মতো কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প এই রাজ্যে লাগু করা হয়নি। এছাড়াও দুর্নীতি হয়েছে বিভিন্ন সরকারি কাজে। বিশেষ করে আম্ফানের টাকা বিলি নিয়ে দুর্নীতি একেবারে টাটকা। রেশন বিলি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। এছাড়াও অভিযোগ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে টাকা নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বে।

উন্নয়নের কার্ডের বিরোধীদের জবাব
উন্নয়নের কার্ডের বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগে জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আম্ফান দুর্নীতি যে সাধারণ মানুষের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী ভালই বুঝতে পেরেছেন। সেই কারণেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে দলের সভায় মন্তব্য করছেন, পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা কোথায় গেল? তিনি তুলছেন রাফালে দুর্নীতির প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে বলছেন, পঞ্চায়েত পর্যায়ে কিছু হলেই বিরোধীরা চেঁচাচ্ছে। সব তো নজরে রাখা যায় না। তৃণমূলের অগ্রাধিকারের তালিকায় কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো প্রকল্প রয়েছে।

দুয়ারে দুয়ারে সরকার
ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে রাজ্যের প্রতি ব্লকে শুরু হয়েছে দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। ১২ টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের দুয়ারে নিয়ে হাজির হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। যাঁরা সেইসব প্রকল্পের সুবিধা পাননি তাঁদের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এবং যাঁরা কোনও সময় সেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে বাধা পেয়েছেন, সেই সব মানুষদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি পর্যায়ে। তবে সরকারি ক্যাম্পগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক ভিড় হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। আবার সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করা হবে।

বিজেপির কট্টর বিরোধী দলও এখন গেরুয়া শিবিরের পক্ষে সুর মেলচ্ছে! কৃষি আন্দোলনের মাঝে নয়া সমীকরণ