স্টাফ রিপোর্টার, বনগাঁ: সম্প্রতি বাঁকুড়া সফরে গিয়ে বিরসা মুন্ডা, পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনের ছুটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বনগাঁ সফরে গিয়ে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে এবছর ২৬ এপ্রিল সরকারি ছুটি থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা।

নভেম্বরে বাঁকুড়া সফরে গিয়ে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ ওই সফরেই কলকাতায় এক মতুয়া বাড়িতেও খাওয়া দাওয়া করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহ ফিরে যেতেই বাঁকুড়া যান মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী দলিতদের মন জয় করতে সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পরপর দু-দিন দু-দুটো সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ঠিক একই রকমভাবে বনগাঁতে গিয়ে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটির ঘোষণা করে মতুয়াদের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোপালনগরের জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত তিরিশ বছর ধরে আমি নিজে বড়মার চিকিৎসা করিয়েছি।

রাজ্যে যে মতুয়ার সম্প্রদায়ের এত মানুষ আছেন, তা আগে কেউ জানতই না। বনগাঁ, গাইঘাটা, স্বরূপনগর আমার কাছে নতুন জায়গা নয়।”মতুয়াদের জন্য তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে, সেই খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মতুয়াদের জন্য আলাদা বোর্ড গড়ে দিয়েছি। ১০ কোটি টাকাও দেওয়া আছে। আমার কোনও চয়েস নেই। আপনারা নিজেদের পছন্দমতো বোর্ড গড়ে নেবেন, তাহলে কাজ শুরু হয়ে যাবে। গাইঘাটায় হরিচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ চলছে। সরকারের পাঠ্যপুস্তকেও হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আপনাদের সব দাবি মেনে নিয়েছি।”

২০১৯ সালে বনগাঁ কেন্দ্রটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। সেখানে গেরুয়াশিবিরের শক্তিবৃদ্ধিও চোখে পড়ার মতো। শাসক- বিরোধী, সবাই জানে এ রাজ্যে ভোটের সমীকরণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া সম্প্রদায়। স্রেফ দুই ২৪ পরগনা নয়, নদিয়া, কোচবিহার. মালদহ-সহ রাজ্যের ৭৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের ভোটারদের সংখ্যা কম নয়। তাই তাদের মন জয়ে তৃণমূল-বিজেপি দু পক্ষই তৎপর।

এদিন মতুয়াদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “আমি বিজেপি পার্টি নই, কথা দিলে কথা রাখি। ওঁরা ভোটের সময়ে মিথ্যা কথা বলে পালিয়ে যায়।”

ভয় কাটানোর দাওয়াই হতে পারে দুই বাংলার কোভিড জয়ীদের কথা।