বাংলায় বাম-ভোটের শিবির পরিবর্তন থেকে মিমের জোরালো আগমন কীভাবে বিজেপিকে মসনদের দিকে নিতে পারে! কিছু পরিসংখ্যান
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৫২ সালের সাধারণ নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ থেকে জিতে সেবার কার্যত গেরুয়া ঝড় তোলেন। কিন্তু তারপর কলকাতার বুকে বহু দলের নানা রঙের পতাকা উড়লেই , গেরুয়া পতাকা ওড়েনি সেভাবে। জনসংঘের সেই জয়ের পর শ্যামাপ্রসাদের এলাকায় এবার গেরুয়া-সবুজ পতাকার দর্পের উড়ানের আশায় বিজেপি। আর বিজেপির সামনে একাধিক ফ্যাক্টর কীভাবে কোন দরজা খুলে দিচ্ছে, দেখা যাক।

বামেদের ভোট শেয়ার ও বিজেপির উত্থান
বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকরা বলছেন,বামেদের ভোট শেয়ারের পতনই ডেকে আনছে বিজেপির উত্থানের ধ্বনি! ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেখলে দেখা যাবে, বিজেপির ভোট শেয়ার প্রতিটি কেন্দ্রে বেড়েছে, যেখানে বামেদের প্রবলহারে পতন হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে বামেদের ভোট শেয়ার ২৯.৯ শতাংশ থেকে পড়ে ৭.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফলে ২২ শতাংশের ক্ষতি। এদিকে, বিজেপি ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ভোট শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪০. ২ শতাংশ। ফলে ঘরে এসেছে ২৩. ২ শতাংশ।

তৃণমূল,বামেদের ভোট শতাংশ পয়েন্ট ও বিজেপির ফুলে ফেঁপে ওঠা
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, প্রতিটি শতাংশ পয়েন্টে বামেদের পতনই সরাসরি বিজেপির উত্থানে সম্পর্কিত। বামেদের পতনে বিজেপির ০.৮৯ শতাংশ পয়েন্টের লাভ হয়েছে। অন্যদিকে বাংলায় গত লোকসভায় তৃণমূলের পতনে ০.৭১ শতাংশ পয়েন্টের সুবিধা হয়েছে। এক জাতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, লোকনীতির সমীক্ষা বলছে, বামেদের ভোটের দুই পঞ্চমাংশ ভোট বিজেপি পেয়েছে । আর এর নেপথ্যে কারণ হিসাবে , তৃণমূল বিরোধিতা উঠে আসছে। বহু বাম সমর্থকই তৃণমূলকে সরাতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।

বাংলার ভোটে মিম, 'ডিসাইডিং ফ্যাক্টর' এবং ৩০ শতাংশ ভোটার
বাংলার ভোটে মোট ভোটারের ৩০ শতাংশ মুসলিম। ১২০ টি কেন্দ্রে তাঁদের ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম। যা যে কাউকে বাংলার মসনদ এনে দিতে পারে। যদি ২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের তুলনামূলক পর্যাোলচনা করা যায়, তাহলে দেখা যাবে,তৃণমূলের ঘরে ৪ শতাংশ পয়েন্ট
বেশি এসেছে। এর মূলে রয়েছে মুসলিম ভোট। আর এই ৪ শতাংশ মমতার ঘর থেকে কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি। সেই জায়গায় প্রাসঙ্গিক মিম। দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালে যেখানে মমতার দলকে ৪০ শতাংশ মুসলিমরা ভোট দিয়েছেন, সেখানে
২০১৯ ভোটে মোদি সুনামির মাঝে ৭০ শতাংশ মুসলিম ভোট মমতার কাছে গিয়েছে বাংলা থেকে।

বহিরাগত তকমা ও বিজেপির সুবিধার জায়গা
প্রসঙ্গত, বিজেপিকে বহিরাগত পার্টি বলে কটাক্ষ করে বাঙালি আবেগে উস্কানি দিতে শুরু করে তৃণমূল । এর পাল্টা চালে তৃণমূলের অন্দরে অবাঙালি নেতা মন্ত্রীদের টার্গেট করা শুরু করে বিজেপি। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের হুগলির দায়িত্বে থাকা দিলীপ যাদবের নাম প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তবে বিজেপি মূলত প্রশান্ত কিশোরকে এই অবাঙালি ইস্যুতে টার্গেটে রাখে। ফলে সেখানেও বিজেপি যথেষ্ট বেগ দিতে পেরেছে বিরোধীদের।

মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে কোন পিচে মাত দিচ্ছে বিজেপি?
বাংলার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মূলত সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে প্রথম পারদ তুলতে শুরু করে বিজেপি। যা লোকসভা ভোটে বিজেপির পালে হাওয়া দেয়। এই ক্যানভাসে ভর করেই বাংলরা 'জয় শ্রীরাম ' স্লোগান দিয়ে বড় দান খেলতে শুরু করে বিজেপি এরপরই তৃণমূলের আম্ফান দুর্নীতি থেকে শুরু করে কাটমানি , সারদা-নারদা মামলা নিয়ে বিজেপি ক্রমা গচ সরকার বিরোধিতার রাস্তায় নামে। য
দাদার অনুগামীদের কার্যালয় খুলে সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা, শুভেন্দু-যোগে কঠোর মমতা