উইঘুরদের উপর ক্রমেই বাড়ছে অত্যাচার! ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাছাই করতে চিনে তৈরি বড়সড় ডেটা সার্ভার
নাগরিকদের ধর্মী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের তোপের মুখে পড়েছে চিন। অন্যদিকে একই ইস্যুতে সরব হয়েছে আমেরিকাও। এমনকী উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলেও দীর্ঘদিন থেকেই বড়সড় সমালোচমার মুখে পড়েছে বেজিং। কিন্তু তারপরেও যে জিনপিং প্রশাসনের একফোঁটাও টনক নড়েনি তা তাদের বর্তমান ক্রিয়াকলাপেই স্পষ্ট।

সূত্রের খবর, বর্তমানে জিনজিয়াং প্রদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বেছে বেছে জেলে ঢোকাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। এমনকী এর জন্য বড়সড় ডেটা সার্ভারও তৈরি করে ফেলেছে চিন। উইঘুর সম্প্রদায়ের যে সমস্ত মুসলিম দৈনন্দিন ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে অভ্যস্ত, বা ধর্মীয় শৃঙ্খলাতেই জীবনধারণ করেন তাদেরকেই বর্তমানে বেছে বেছে জেলে ঢোকাচ্ছে সরকার। চিনের তরফে এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ইন্টেগরেটেড জয়েন্ট অপারেশন্স প্ল্যাটফর্ম বা আইজিওপি।
বুধবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডব্লিউ-র তরফে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। সেখানেই বলা হচ্ছে এই সম্প্রদায়েক যে সমস্ত মানুষ করোনা পাঠ, হজ ও নিত্য নামাজ পাঠে অভ্যস্ত তাদেরই মূলত তালিকায় উপরের দিকে রাখা হচ্ছে। তারপর বেছে বেছে চলছে নির্যাতন। ধর্ম ত্যাগ ও ধর্মান্তকরনের জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানেই এই তালিকায় থাকা ২ হাজার জনের নাম ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলেও খবর। ধর্মীয় যাপন ছাড়াও জিনজিংয়াং প্রদেশের একটা বড় অংশের মানুষদের সামাজিক যোগাযোগ, পরিবার, পেশা সম্পর্কেও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করছে চিন সরকার। এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, বর্তমানে জিনজিয়াং প্রদেশের একাধিক ক্যাম্পে কমপক্ষে ১০ লক্ষের বেশি উইঘুর মুসলিমদের আটকে রেখেছে চিন।

উন্নয়ন নিয়ে প্রচার! বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড তৃণমূলের