নয়াদিল্লি : বর্তমানে যা বেতন পান কোনও কর্মী, তা কমতে চলেছে। কেন্দ্র সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে এমনই কথা। জানানো হয়েছে কোনও কর্মীর যা পে প্যাকেজ, তার থেকে বেশ কিছুটা কমে যাবে ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে। নতুন সংশোধিত বেতন বিল অনুযায়ী এমনটাই ঘটতে চলেছে।
কিন্তু কী কারণে বেতন কমতে চলেছে, তা জেনে নিন।
কোড অফ ওয়েজেস, ২০১৯- এই নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে পরবর্তী অর্থবর্ষ ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী বেতন ক্রমে যে অ্যালাওয়েন্স বা বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়, তা মূল বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। এর অর্থ বেসিক স্যালারির চেয়ে বেশি হতে পারবে না কোনও ভাতা।
তাহলে বেসিক স্যালারিকে ৫০ শতাংশ হতে হবে। বেসিক স্যালারি যদি ৫০ শতাংশ হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়বে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়িটি পেমেন্টে, যার একটা অংশ কাটা হয় কর্মীদের বেতন থেকে। বেসিক স্যালারি বাড়লে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচুয়িটির টাকা কাটার পরিমাণ বাড়তে চলেছে, যার প্রভাব পড়বে কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতনের ওপর।
ফলে কমতে চলেছে মাসের মাইনে। বর্তমানে বেশিরভাগ বেসরকারি কোম্পানি বেসিক স্যালারি কমিয়ে বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এই বিষয়টি পাল্টাতে চলেছে। তাই বেসরকারি কোম্পানির কর্মীদের ওপর এই নতুন নিয়মের প্রভাব প্রত্যক্ষ ভাবে পড়তে চলেছে। যাঁরা বেশি ভাতা পান বেসিক স্যালারি থেকে।
এর জেরে কোম্পানি কস্ট বাড়তে চলেছে কর্মী প্রতি। কারণ বেসিক স্যালারি বাড়লে কোম্পানির গ্রাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের দেয় টাকার পরিমাণও বাড়বে। প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়বে মোট খরচের পরিমাণ।
এদিকে, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা সিএমআইই জানাচ্ছে ভারতে বেকারত্বের হার ৭.৮ শতাংশে নেমেছে। ২২শে নভেম্বর যে সমীক্ষা করেছে সিএমআইই, তাতে এই তথ্য জানা গিয়েছে। সিএমআইই জানিয়েছে জুন মাসে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ার পর কিছুটা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল।
তবে ২৫শে অক্টোবরের পর থেকে আবার সেই হার নামতে শুরু করেছে। নভেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত নিয়োগের হার ছিল ৩৬.২ শতাংশ।
সিএমআইইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১.৮ কোটি মানুষকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে এই মহামারীর কারণ দেখিয়ে। বিভিন্ন ব্যবসা ও ফার্ম থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে এঁদের।