বনধেই বাড়ছে আন্দোলনের তেজ! পুলিশকে তোয়াক্কা না করেই দিল্লি সীমান্তে হাজির ২০০টি কৃষক বোঝাই ট্রাক
পাঁচ দফার বৈঠকেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। এদিকে কেটে গিয়েছে ১২ দিনেরও বেশি সময়। এমতাবস্থায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের এখনও অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। অন্যদিকে বিক্ষোভের তেজ আরও বাড়াতে ৮ ডিসেম্বর কৃষকদের ডাকেই চলছে দেশব্যাপী চলছে ভারত বনধ। ইতিমধ্যেই দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে ক্রমেই আরও বাড়ছে জমায়েত।

আসছে দুশোটি ট্রাক
সূত্রের খবর, গত প্রায় দু-সপ্তাহ ধরে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান করছেন প্রায় ১২ লক্ষের বেশি কৃষক। এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়াতে হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে এদিন সিঙ্ঘু সীমান্তে এসে হাজির হচ্ছে কৃষক বোঝাই প্রায় দুশোটি ট্রাক। সোমবার রাত থেকেই ধীরে ধীরে বদলাচ্ছিল চিত্রটা। মঙ্গলবারভোরে আলো ফুটতেই আরও দীপ্ত চেহারায় দেখা যায় দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকদের।

পুলিশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই বাড়ছে আন্দোলনের তেজ
অন্যদিকে বড়সড় কৃষক জমায়েতের খবর পেয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশও। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের সেল। উপর মহল থেকেই নির্দেশ মিলতে যে কোনও মূহূর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে লাঠিতার্জ। এদিকে পুলিশের চোখ রাঙানিকে তোয়াক্কা না করেই তিনটি কৃষি বাতিলের দাবিতে এখনও একরোখা মনোভাবই ধরে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ চাষীর দল।

বনধের আঁচ কমবেশি প্রতিটা রাজ্যেই
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বনধের আঁচ পড়েছে কমবেশি প্রতিটা রাজ্যে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কেরলের মতো একাধিক রাজ্য সরকার এই বনধকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেস, আপ, বামেদের পাশাপাশি দেশের একটা বড় অংশের ট্রেড ইউনিয়নগুলিও এই ভারত বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে।

বনধ ঠেকাতে কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল্লি পুলিশের
এদিকে বনধ আবহে আরও জোরদার করা হয়েছে দিল্লি সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।সিঙ্ঘু সীমান্তের একাধিক পয়েন্টে ফেলা হয়েছে ব্যারিকেড। মোতায়ের রয়েছে বড় সংখ্যক পুলিশ বাহিনীও। অন্যদিকে্ যান চলাচল ব্যহত করার চেষ্টা করা হলে ধর্মঘটিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি বলপূর্বক দোকান-বাজার বন্ধের চেষ্টা করা হলেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বন্ধ রয়েছে কোন কোন রাস্তা ?
এদিকে কৃষক আন্দোলনের জেরে বর্তমানে গাজিয়াবাদ যাওয়ার রাস্তাও পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ের উপরেই গত কয়েকদিন ধরে একটানা অবস্থান করছেন কৃষকরা। পাশাপাশি ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ইউপি গেট বর্ডাকও আংশিক ভাবে বন্ধ রয়েছে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে। এদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকালের মধ্য সিঙ্ঘু সীমান্তে এসে জড়ো হবেন আরও লক্ষাধিক কৃষক। ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন অনেকে। তবে বিকেল হলে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা ভেবেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পুলিশের।
শিলন্যাসের অনুমতি মিললেও এসেছে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ! একনজরে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের ইতিবৃত্ত