কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝি পলাতক৷ তাই লালার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল সিবিআই৷ ইতিমধ্যেই লালার ছবি-সহ নোটিস দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে৷
সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ১১ টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল লালা ওরফে অনুপ মাঝিকে৷ কিন্তু তিনি গরহাজির ছিলেন৷ তবে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্ত্রী গিয়েছিলেন সিবিআই দফতরে৷
অন্যদিকে লালাকেই হন্যে হয়ে খোঁজছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা৷ ইতিমধ্যেই লালার অফিস,বাড়িসহ একাধিক ডেরায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই৷ কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ এমনকি লালা কোথায় আছে তাও জানা যায়নি৷ এরপরই সিবিআই তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে৷
সিবিআই সূত্রে আরও খবর,লালা ওরফে অনুপ মাঝির সহযোগী ব্যবসায়ী নীরজ সিংহকে তলব করেছে সিবিআই৷ অভিযোগ, নীরজ সিংহের বিরুদ্ধে লালার হয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নীরজের৷
সম্প্রতি কয়লা পাচার কান্ডের তদন্তে জোরদার অভিযান চালায় সিবিআই৷ কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল–সহ রাজ্যের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই অফিসাররা৷
কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিস। এমনকী অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলছে সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি৷ পাশাপাশি সিবিআই বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা লালা এখনও বেপাত্তা। বাংলায় কয়লা কেলেঙ্কারির পিছনে লালার ভূমিকা যথেষ্ট বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই বেআইনি কয়লা আদান-প্রদান ঘটে বলে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রথমে তদন্তে নামে আয়কর দফতর। তারা তদন্ত করে যে তথ্যপ্রমাণ বা নথি পেয়েছে সে সব জানতে চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি দেয় সিবিআই। সেই ফাইল হাতে আসার পর এবার জোরকদমে তদন্তে নামে সিবিআই৷ কয়লার পাশাপাশি গরু পাচার-কান্ডের তদন্তও চালাচ্ছে সিবিআই।