সিএএ লাগুর দাবিতে চিঠি প্রাক্তনীর! একমাস পর অন্য বিবৃতি দিতে পারেন মমতা ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী, বিজেপির কথায় জল্পনা
এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (amit shah) সিএএ লাগুর দাবি নিয়ে চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) মন্ত্রিসভার এক প্রাক্তন এক সদস্য উপেন বিশ্বাস (upen biswas)। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির (bjp) নেতা শমীক ভট্টাচার্য (samik bhattacharya)।

তৃণমূল মন্ত্রিসভায় উপেন বিশ্বাস
আইপিএস থেকে রাজনীতিবিদ উপেন বিশ্বাস। ১৯৬৮ সালে আইপিএস হিসেবে চাকরিতে যোগদান। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডির পাশাপাশি তিনি সিবিআই-এর যুগ্ম অধিকর্তাও ছিলেন। সিবিআই-এর অতিরিক্ত অধিকর্তা হিসেবে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। পশু খাদ্য মামলায় তদন্তে তিনি সংবাদ শিরোনামে আসেন। সেই মামলায় এখনও রাঁচির জেলে বন্দি লালুপ্রসাদ যাদব। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১১-র নির্বাচনে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা আসন থেকে জয়ী হন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।

অমিত শাহকে চিঠি উপেন বিশ্বাসের
শমীক ভট্টাচার্য এদিন জানিয়েছেন, নমশূত্র এই নেতা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে সত্ত্বর সিএএ লাগুর দাবি জানিয়ে। বিষয়টি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এই বিষয়টিতে বিজেপির তরফে স্বাগত জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজেপির কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। সবদিক বিবেচনা করে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের তরফ থেকে শিলিগুড়িতে সোমবার কোনও গুলি চালানো হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, নিজেদের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এদিন পুলিশের করা প্রায় একই ধরনের বিবৃতির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও রানিগঞ্জ থেকে বলেছেন, পাবলিসিটি করার জন্য বিজেপি নিজেরাই একজনকে মেরেছে।

বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়
এব্যাপারে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একমাস পরে তিনি অন্য বিবৃতি দেবেন নাতো, প্রশ্ন তুলেছেন শমীক ভট্টাচার্য। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় ১৯৯৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ২০০০ সালে কলকাতার পুরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁকে ওই বছরে মেয়র করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০০৫-এ পুরসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূল ত্যাগ করে কংগ্রেসের ফিরে যান। রাজ্য কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির পদও তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে তিনি বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও সিপিএম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এরপর ২০১০-এর মে মাসে তিনি ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১১র- বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের মন্ত্রী করেন। ২০১৬-তে তাঁকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ফের বাঁকুড়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। একটা সময়ে তিনি টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন মুনমুন সেনের সঙ্গে।
পুলিশ তৃণমূলের সঙ্গী! বিজেপি কর্মীর মৃত্যু তদন্তের আগেই 'সিদ্ধান্ত' নিয়ে বিস্ফোরক শমীক