কলকাতা: মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করল রাজ্যপাল৷ রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে সেভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না, তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জগদীপ ধনকড়। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল৷ অতীতেও তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপাল তার ট্যুইটে লিখেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনা, পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাকে নিয়মিত আপডেট করায় তাঁরা ব্যর্থ। তাঁরা লাগাতার জবাব, প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার অবস্থান নিয়েছেন।

এটা সংবিধানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সরকার, শাসন চালানোর যাবতীয় রীতিনীতিকে ঝেড়ে ফেলারই সমান। লাগাতার তথ্য চেয়েও মেলেনি জবাব, তাঁকে রাজ্যের কোনও বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধনকড়৷

অন্যদিকে রাজ্যপালের এই ট্যুইটের সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়৷ তার দাবি,রাজ্যপালের এই কাজ সংবিধান বিরুদ্ধ৷ রাজ্যপাল প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন,কথা বলতে পারেন৷ রাজ্য প্রশাসনের ও পুলিশের কোনও আধিকারিককে এভাবে নির্দেশ দিতে পারেন না তিনি৷ সংবিধানের ১৬৭ ধারাতেই তার উল্লেখ আছে। এর আগেও পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল৷

তিনি বলেছিলেন, “রাজ্য সরকারি দফতরের পুরো রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে । রাজ্যের অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছে যে শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ থাকলে পুলিশ অ্যাকশন মুডে থাকছে। রাজনৈতিক গতিবিধিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা উচিত না। পুলিশ একতরফা কাজ করছে।

রুলিং পার্টি সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিপক্ষকে সভা করার অনুমতি না দেওয়া প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কুঠারাঘাত। কৃষক নিধি প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের 8 হাজার ৪০০ কোটি টাকার সাহায্য মিলত। পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি রাজ্য যেখানে খারাপ রাজনীতির জন্য এটা এখনও লাগু হয়নি। বেঙ্গল গ্লোবাল সামিট পাঁচটি এডিশন হয়েছে। ১২ হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট দেখানো হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের টাকা কোথায় খরচ হয়েছে?

পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কি হয়েছে সেই প্রশ্ন তো আমি করবই।” শুধু তাই নয়, “দুয়ারে দুয়ারে প্রকল্পকে সরকারের বিজ্ঞাপন” বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।