কলকাতা: শীলভদ্র দত্তকে নিয়ে জল্পনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। ফেসবুকে তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে হয়েছে জোর চর্চা। এরই মধ্যে সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের বাড়িতে হাজির হয়েছেন তিনি।

মুকুল রায়ের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রয়েচে বেশ কয়েকজন বিধায়ক, তার মধ্যে শীলভদ্র দত্ত অন্যতম।

শীলভদ্র দত্ত বরাবরই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷ ইতিমধ্যেই শীলভদ্র জানিয়ে দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না৷ শীলভদ্রের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগের কথা জানিয়ে এ দিন সেই জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন মুকুল৷ তবে মঙ্গলবার মুকুল রায় তাঁর সঙ্গে শীলভদ্রের দেখা হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
সূত্রের খবর, এদিন মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে যান শীলভদ্র দত্ত৷ যদিও সেকথা অস্বীকার করেছেন মুকুল৷ তবে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, ‘ও তো রোজ আসে, আজও এসেছে, এ আর নতুন কী!’ ্রমনকি বিজেপি করার পরও তাঁর সঙ্গে শীলভদ্রের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেন মুকুল।

অক্টোবর মাসেই প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের কাজকর্ম নিয়ে সরব হল শীলভদ্র দত্ত৷ তিনি জানিয়ে দেন, তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না৷ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন শীলভদ্র৷ কয়েকদিন আগে শীলভদ্র দত্তের মান ভাঙাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান টিম পিকে-র দুই সদস্য৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন শীলভদ্র৷ ওই দিনই সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে যান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ কিন্তু অপেক্ষা করেও বাড়িতে না থাকায় ব্যারাকপুরের বিধায়কের দেখা পাননি তিনি৷ এবার মুকুল-শীলভদ্র বৈঠকের খবর ব্যারাকপুরের বিধায়কের দলবদলের সম্ভাবনা আরও জোরাল হল৷

এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুকুল রায়৷ তিনি দাবি করেন, শুভেন্দুর সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিধায়ক রয়েছেন৷ সেই দলে শীলভদ্র দত্তও থাকতে পারেন৷ মুকুল রায় বলেন, ‘শুভেন্দু গণ আন্দোলনের ফসল৷ আশা করি সেকথা মাথায় রেখেই ও নিজের সিদ্ধান্ত নেবে৷’ মুকুল আরও বলেন, ‘তৃণমূল বলে আর কিছু নেই৷ যেদিন ওই দল ছেড়েছিলাম সেদিনই বলেছিলাম, শেষের শুরু৷ আজও সেই কথাই বলছি৷ ‘

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।