মমতার সভায় কতজন বিধায়ক এলেন, কতজন রইলেন গরহাজির! জল্পনা শুভেন্দু-প্রশ্নে
মেদিনীপুরে বংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেন্দু-সহ অধিকারী পরিবারের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। সেটা অনুমান করাই গিয়েছিল। কিন্তু দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কতজন বিধায়ক এলেন মমতা বন্যোা পাধ্যায়ের জনসভায় তা নিয়ে ময়নাতদন্ত চলছিলই। রাজনৈতিক মহল জানতে চাইছিল কারা অনুপস্থিত রইলেন।

মমতার সভায় কতজন বিধায়ক আসেন, কারা অনুপস্থিত
অধিকারীরা ছাড়াই মমতার সভায় কার্যত জনসুনামি হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এই সভা আদতে হয়ে উঠেছিল দিদি বনাম দাদার অনুগামীদের লড়াই। মমতার সভায় বিধায়কদের মধ্যে কারা আসেন, আর কারা অনুপস্থিত থাকেন, তা নিয়েই চর্চা চলছিল অবিরত।

তিন জেলার ৩২ জন বিধায়কের মধ্যে কতজন এলেন
মমতার সভার ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে মোট ৩২ জন বিধায়ক রয়েছে তৃণমূলের। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। ন-জন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। তাঁরা কারা তা নিয়েই আলোচনা ছিল সরগরম।

অনুপস্থিত বিধায়কের একজন শুভেন্দু, আর কতজন
অনুপস্থিত বিধায়কের মধ্যে একজন হলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে রইল বাকি আটজন। এঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন অসুস্থ বলে সভায় আসতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্তত চার-জন বিধায়ক শুভেন্দু-সংসর্গের কারণে গরহাজির ছিলেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে তাঁরা কারা তা পরিস্ফুট করেননি কেউই।

বিধায়করা গরহাজির মমতার সভায়, তৃণমূলের দাবি
তৃণমূল মনে করছে, শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকারী পরিবার ছাড়াও তাঁদের সভা ঐতিহাসিকভাবে সফল হয়েছে। এই সভায় ভিড় যেমন ছিল চোখে পড়ার মতো, তেমনই ছিল নেতানেত্রীদের ভিড়। অধিকাংশ বিধায়ক এসেছেন। যাঁরা আসতে পারেননি তাঁরা আগাম জানিয়েছেন অসুস্থতার কারণ।

শুভেন্দু বিরোধী গোষ্ঠীর আধিপত্য ছিল মমতার সভায়
বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীও ছিলেন না মমতার সভায়। অধিকারীরা ছাড়া দুউই মেদিনীপুরের প্রথম সারির সমস্ত মুখকেই দেখা গিয়েছে মমতার সভায়। শুভেন্দু বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের আধিপত্য ছিল মমতার সভায়। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অনেক বিধায়কও ছিলেন সভায়।

রাজ্যস্তরের কারা ছিলেন মমতার সভায় উপস্থিত
এদিকে মমতার সভায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুইঁয়া, বিধায়ক শিউলি সাহা, দুলাল মুর্মু, তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পূর্ণেন্দু বসু, ইন্দ্রনীল সেন, সৌমেন মহাপাত্র।

উল্লেখযোগ্য বিধায়কদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন মমতার সভায়
মমতার সভায় উল্লেখযোগ্য বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন অখিল গিরি, রঞ্জিত মণ্ডল, মমতা ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, ফিরোজা বিবি, প্রদীপ সরকার প্রমুখ। এদিনের সভায় আট লাখেরও বেশি মানুষ এসেছিলেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মেদিনীপুরের মাটিতে জনসভায় অধিকারীরা ছাড়াই সফল এককথা বলাই যায়।