সিডনি: গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিনবার জীবনদান৷ আর এর ফল ভুগতে হল ভারতকে৷ প্রথমবার নো-বলে৷ আর দ্বিতীয়বার তাঁর সহজ ক্যাচ ছাড়লেন দীপক চাহার৷ হোয়াইটওয়াশ বাঁচানোর ম্যাচে ম্যাক্সওয়েল ও ম্যাথু ওয়েডের ব্যাটে ভারতের সামনে বড় রানের টার্গেট রাখল অস্ট্রেলিয়া৷

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ শুরুতেই ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট হারালেও ওয়েড ও ম্যাক্সওয়েলের দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরিতে ভারতের সামনে ১৮৭ রানের লক্ষ্য রাখল অস্ট্রেলিয়া৷ নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৮৬ রান তুলেছে অজিবাহিনী৷

প্রথমে ব্যাটিং করতে এদিন শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার৷ চোট সারিয়ে এদিন দলে ফেরা অজি ক্যাপ্টেন কোনও রান না-করেই ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ডাগ-আউটে ফেরেন৷ হার্দিকের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন ফিঞ্চ৷ এরপর ওয়েড ও স্টিভ স্মিথ অজি ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান৷ আগের ম্যাচের মতোই আক্রমাণ্মক ব্যাটিং করেন ওয়েড৷ পাওয়ার প্লে-তে এক উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া৷

মাত্র ৩৬ বলে সিরিজে তাঁর দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরিটি করেন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান৷ ওয়েডের বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত থাকলেও স্মিথকে ব্যক্তিগত ২৪ রানে ডাগ-আউটে ফেরান সুন্দর৷ তবে এর আগে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের পার্টনারিশিপ যোগ করেন ওয়েড-স্মিথ৷ স্মিথ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ম্যাক্সওয়েল৷ আগের ম্যাচে রান না-পেলেও এদিন শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ম্যাক্সি৷

ওয়েড ও ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া৷ ১১.৫ ওভারে দলকে একশো রানে পৌঁছে দেন এই দু’জনে৷ তারপর ভারতীয় বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন ওয়েড ও ম্যাক্সওয়েল৷ তবে এর মধ্যে জীবন পান ম্যাক্সি৷ ব্যক্তিগত ১৯ রানে চাহালের নো-বলে আউট হয়ে প্রথমবার জীবন পান ম্যাক্সওয়েল৷ জীবন পেয়ে মাত্র ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি৷ পরে দু’বার তাঁর ক্যাচ ফেলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা৷ শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৫৪ রানে টি নটরাজনের বলে বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েল৷ ৩৬ বলের ইনিংস তিনটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারি মারেন ডানহাতি এই অজি অল-রাউন্ডার৷

ম্যাক্সওয়েলের ঠিক আগে ব্যক্তিগত ৮০ রানে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হন ওয়েড৷ ৫৩ বলের ইনিংসে এদিন সাতটি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি৷ এ নিয়ে টানা দু’টি ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন অজি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানস৷ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এই এসসিজি-তে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন ওয়েড৷

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।