নয়াদিল্লি : নিভার গিয়েছে। আছড়ে পড়েছে বুরেভিও। এবার সাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ‘অর্ণব’। নয়া ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে তামিলনাড়ু উপকূলে। এমনটাই খবর কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
এত পরের পর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে বা তৈরি হতে দেখা যায় না। কিন্তু এবারে সেটাই হচ্ছে। একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তাক করে বসে থাকছে উপকূলের দিকে। তাদেরই অন্যতম এই অর্ণব।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অর্ণব নামের এই নয়া ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি বৃদ্ধি করে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এখনই এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি এবং ঠিক কখন নিজের রূপ ধারণ করবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নিভারের ক্ষত লিমিয়ে যাওয়ার আগেই, আরও এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চল তা স্পষ্ট।।
মায়নমার, ইরান, ওমান, পাকিস্তান, কাতার এবং সৌদি আরবের মতো ১৩ টি বিভিন্ন দেশ দ্বারা প্রস্তাবিত ১৬৯ টি নামের একটি তালিকার অংশ হল এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম। তবে আমফান, নিভারকে ছাপিয়ে আরও শক্তিশালী আকার ধারণ করবে, নাকি ভারী নিম্নচাপের আকারে ঝড়ে পড়বে অর্ণব, তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সর্বশক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ দ্বীপরাষ্ট্রের আছড়ে পড়ে এই ঝড়। ঘূর্ণিঝড় নিভারের মতো এটি বিধ্বংসী ছিল না। শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডব চালানোর পর ঝড় ঘুরতে শুরু করে তামিলনাড়ুর দিকে।
এর জেরে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর রামানাথাপুরম, থুঠুকুড়ি, তিরুনেলভেলি, কন্যাকুমারী, তেনকাশী, বিরুধুনগর, থেনি, মাদুরাই এবং শিবগঙ্গা জেলা এবং দক্ষিণ কেরালার থিরুভনন্তপুরম, কোল্লাম, পাঠানমথিত্তা, ইঢ়ুক্কি এবং আলাপুঝা জেলায় অতিভারি থেকে ভারি বৃ্ষ্টিপাতের সম্ভাবনা হয়। একইসঙ্গে উত্তর তামিলনাডু়, পুদুচেরি, মাহে, কারাইকল, উত্তর কেরালা, উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশ এবং লাক্ষ্মাদ্বীপে বিক্ষিপ্তভাবে ভারি থেকে অতিভারি বৃ্ষ্টিপাত হয়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্রর জল ১ মিটার উঁচুতে উঠে গিয়েছিল। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মান্নার উপসাগরে এবং দক্ষিণ তামিলনাড়ু, পশ্চিম শ্রীলঙ্কা ও কোমরিন অঞ্চলে সমুদ্র উত্তাল ছিল। লক্ষ্মাদ্বীপ এবং মালদ্বীপে ও বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকেও সমুদ্রও উত্তাল ছিল এর জেরে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় মৎস্যজীবিদের এইসব অঞ্চলে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়রছিল।