গুরুদেবের শান্তির নীড়ে এক টুকরো বন্যপ্রাণের চারণভূমিতে লুকিয়ে অপরিসীম পরিতৃপ্তি
ছায়া সুনিবিঢ় শান্তির নীড়ের আকর্ষণ যে কেবলই গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এমনটা কিন্তু নয়। রাঙা মাটির দেশ শান্তিনাকেতন পর্যটকদের টানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ডালা সাজিয়েও। কোপাই, খোয়াই, সোনাঝুড়ির বন, সরষে ক্ষেতে মন হারিয়ে যায়। অন্যপ্রান্তে লুকিয়ে এক অন্য সৌন্দর্য্য। সবুজে ঘেরা বনে বণ্যপ্রাণের অবাধ বিচরণ দেখার মজাই আলাদা। একফাঁকে বল্লভপুর বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ঘুরে আসেন পর্যটকরা।

অবস্থিতি
ঐহিত্যবাহী বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস থেকে কমবেশি দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বল্লভপুর বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ডিয়ার পার্ক নামে অধিক জনপ্রিয়। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে শান্তিনিকেতন ঘুরে আসা পর্যটকরা সুযোগ পেলেই ভিড় করেন এই স্থানে।

কীভাবে যাবেন
শিয়ালদহ, হাওড়া কিংবা কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনে বোলপুর পৌঁছতে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়। সেখান থেকে রিক্সা, টোটো কিংবা অটোয় চেপে পৌঁছে যাওয়া যায় ডিয়ার পার্ক। কলকাতা থেকে যাঁরা সড়কপথে বোলপুর পৌঁছন, তাঁদের কাছে বল্লভপুর বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে পৌঁছনো অনেক সহজ। বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান এই স্থানে।

ইতিহাস
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ হরিণ সংরক্ষণস্থলটি ১৯৭৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল। দামোদর এবং অজয় নদের মধ্যবর্তী তৈরি হওয়া এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি ২০০ হেক্টর জমির ওপর দাঁড়িয়ে। যার দৈর্ঘ্য ৫৬ মিটার বা ১৮০।

কী কী দেখবেন
বিশ্বভারতীয় নিকট এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে বহু হরিণের বাস। জঙ্গল সংলগ্ন ওয়াচ টাওয়া থেকে শিয়াল, কালো হাঁসের দর্শন মেলাও কম সৌভাগ্যের নয়। অভয়ারণ্য সংলগ্ন জলাশয় এই স্থানের শোভা বর্ধন করেছে।

কোথায় থাকবেন
বোলপুর এবং প্রান্তিকের হোটেল কিংবা রিসর্টে থেকে শান্তিনিকেতন ভ্রমণের পাশাপাশি ডিয়ার পার্কে ঢুঁ মারেন অনেকে।
ছবি সৌ: ইউটিউব
কুলিক নদীর পাড়ে সবুজ বন যেন রঙিন পাখিদের মুক্তাঙ্গন