নয়াদিল্লি: আন্দোলনরত অবস্থায় এক কৃষকের মৃত্যু দিল্লিতে। মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সীমানায় মৃত্যু ৩২ বছরের এক যুবকের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কৃষকের। প্রাথমিকভাবে এমনই অনুমান চিকিৎসকদের। তবে কৃষকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন আকস্মিক এই কৃষকের মৃত্যুতে স্বভাবতই শোকের ছায়া বাকিদের মধ্যে।
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভ চরম আকার নিচ্ছে। দিল্লি ঘেরাও করে রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। বাম, কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কেন্দ্র বিরোধিতায় সুর চড়াচ্ছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে চলছে ভারত বনধ। মঙ্গলবার এই বনধ চলাকালীন দিল্লির কাছে সিঙ্ঘু সীমান্তে ওই কৃষকের মৃত্যুর খবর মেলে।
জানা গিয়েছে, একটানা ১২ দিন ধরে আন্দোলন করছিলেন ওই কৃষক। সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁকে ডাকাডাকি করেন বাকিরা। সাড়া না মেলায় খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে। যুবককে পরীক্ষা করে দেখার পর চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার জেরেই ওই কৃষকের মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান চিকিৎসকদের।
নয়া কৃষি আইন, কৃষক-স্বার্থ বিরোধী। এমনই অভিযোগ কৃষকদের। সেই কারণেই এই আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন তাঁরা। নয়া আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি ঘেরাও রেখেছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। ইতিমধ্যেই বহু কৃষক ঠান্ডার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবু থামেনি আন্দোলন।
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঁচ দফা আলোচনা হয়েছে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের সঙ্গে সেই বৈঠকের প্রত্যেকটিতেই নয়া আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কৃষক-নেতারা। যদিও এখনও মেলেনি সমাধান। তবে শেষ বৈঠকে খানিকটা নরম মনোভাব নেয় কেন্দ্র।
নয়া কৃষি আইন বাতিলের পথে না হেঁটেও সেই আইনে কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করতেই ৯ ডিসেম্বর ফের বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেই বৈঠকেই জট কাটবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। যদিও কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। কৃষি আইন বাতিলেরই দাবি কৃষকদের। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচি তাঁরা প্রত্যাহার করবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন।