ভারত বনধে স্তব্ধ জনজীবন, তড়িঘড়ি সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক অমিত শাহর!
দিনভড় দেশজুড়ে কৃষকদের সমর্থনে বিভিন্ন বিরোধী দলের বিক্ষোভ প্রদর্শন দেখা গেল। এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন থামার কোনও নাম নিচ্ছে না। এই আবহে বুধবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কৃষক নেতাদের। তবে তার আগে এদিনই সন্ধ্যা ৭টায় কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

হঠাৎ বৈঠকের ডাক অমিত শাহর
এদিন উত্তরপ্রদেশ ভিত্তিক ভারতীয় কিষাণ সংগঠনের নেতা রাকেশ তিকাইত জানান যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁদেরকে সন্ধ্যা ৭টার সময় বৈঠকে ডেকেছেন। জানা গিয়েছে এই বৈঠকের পর এদিন দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমান্তে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিস্থিতিতে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিগামী সড়ক খুলে দেওয়ার আবেদন করেছেন রাকেশ।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বিরোধী নেতারা
এদিকে বুধবার একদিকে যখন কৃষকরা নিজেদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঠিক সেই সময় কৃষি আইন বিরোধী রব তুলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙঅগে দেখা করবে বিরোধী দলের নেতারা। কৃষকদের সমর্থনে আজ এই ঘোষণা করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। উল্লেখ্য আজকের এই ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, বাম ফ্রন্ট, এনসিপি, তৃণমূল কংগ্রেস সহ মোট ১৬টি দল।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে কৃষকরা এখনও অবরোধ করে রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে দেখা করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কৃষি আইনের বিরোধিতায় অনড় প্রতিবাদী অন্নদাতারা এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত বনধ পালন করেন।

২০০টি ট্রাকে করে আরও কৃষক আসছেন দিল্লি সীমানায়
জানা গিয়েছে যে পাঞ্জাব থেকে আরও ২০০টি ট্রাকে করে কৃষকরা প্রতিবাদ জানাতে দিল্লি সীমানায় আসছে। যখন কয়েকদিন আগে এরকমই পরিস্থিতি উপনীত হয়েছিল, তখন হরিয়ানা সরকারের পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছিল গোটা দেশ এবং বিরোধীরা। সেই একই পরিস্থিতি যাতে ফের ফিরে না আসে, তার জন্যে তৎপর বিজেপি।

কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা হলেও তা থেকে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। দিল্লির কাছে জাতীয় সড়কে যে সব কৃষক নেতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা ওই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি
এর আগে গত শুক্রবার সাত ঘণ্টা ধরে বৈঠক হলেও তা নিষ্ফলা থেকেছে। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের একটাই দাবি, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তারা এই আইন প্রত্যাহার করবে না।