২০২০ সালেই আমেরিকা পেল প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি! একনজরে কমলা হ্যারিসের রাজনৈতিক উত্থান
করোনা আবহেই মধ্যেই ২০২০ জুড়েই শুধু নতুনের ঘনঘটা।আর তার রেশ ধরেই বড়সড় পরবির্তনের প্রতিচ্ছবি বিশ্ব রাজনীতির ময়দানে। বদলে মার্কিন রাজনীতির সমীকরণও। ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ কমলা হ্যারিস।

আমিই প্রথম, কিন্তু শেষ নই
এদিকে তীব্র ঘটনাবহুল ২০২০ সালে চিরস্মরণীয় কিছু ঘটনার তালিকায় বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে এই ঘটনা চিরস্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। যদিও ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবিরকে ধরাশায়ী করে ডেমোক্র্যাট উত্থানের হাত ধরে জয় লাভের পরেই কমলাকে বলতে শোনা যায়, " আমিই প্রথম, কিন্তু শেষ নই।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কমলা আদপে আধা ভারতীয়, আধা জামাইকান। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্টও বটে।

এর আগেও মার্কিন প্রশাসনে একাধিক গুরু দায়িত্ব সামলেছেন কমলা
আরও সহজ করে বললে ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে প্রধান দুই দলের মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হয়েছেন।এবছরের নির্বাচনের আগে ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর পদে আসীন ছিলেন কমলা।এর আগে সান ফ্রান্সিস্কোয় কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।

২০১৯ সাল থেকেই শুরু প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচার
যদিও ২০২০ শেষ ভাগে কমলার ঝুলিতে জয় এলেও নির্বাচনী প্রচারের ময়াদানে নেমেছিলেন তিনি অনেক আগেই। ২০১৯ সাল থেকেই ধীরে ধীরে প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। যদিও তখনও উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য কমলাকে সবুজ সংকেত দেয়নি বাইডেন শিবির। যদিও ক্যালিফর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর পদের প্রথম পর্যায়ের পর ২০১৯ সালেই প্রেসিডেনশিয়াল প্রচার শুরু করে দেন কমলা।

হিলারি ক্লিনটনের ভাঙা স্বপ্নই ফের জোড়া লাগল কমলার হাতে
এদিকে মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উদীয়মান তারকা কমলা হ্যারিস৷ গত দু দশক ধরে মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবেই রয়েছে তার উপস্থিতি৷ এদিকে এখনও অবধি কোনও মহিলা মার্কিন প্রশাসনে এত উচ্চপদে আসীন হননি৷ চার বছর আগে ট্রাম্পের দাতে দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল হিলারি ক্লিনটনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন। তাই এবারের কমলার জয় সেই ক্ষতে খানিকটা হলেও মলম দিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷

ভোটে জিতেই মায়ের স্মৃতিচারণায় আবেগতাড়িত কমলা
এদিকে কমলার সঙ্গে রয়েছে ভারতের আত্মিক সম্পর্ক। এমনকী এবারের নির্বাচনী প্রচারেও একাধিকবার সেই প্রসঙ্গ ফিরে ফিরে আসে। এমনকী একাধিকবার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করতে দেখা যায় আমেরিকার নতুন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে। এমনকী ভোটে জেতার পরেও তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে ফিরে ফিরে আসে তার অতীত জীবনের কথা। এমনকী ভাষণ চলাকালীন মায়ের কথা উঠতেই আবেগতাড়িতও হয়ে পড়তে দেখা যায় কমলাকে।

কমলার কথায় ভারত প্রেম
একইসাথে চেন্নাইয়ে কাটানো সময়, তার ইডলি প্রেম ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি পরম শ্রদ্ধার কথাও বারবার উঠে আসে কমলার কথায়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কমলার বাবা ডোনাল্ড আমেরিকায় এসেছিলেন জামাইকা থেকে। মা শ্যামলা আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে। পরবর্তীতে বিয়ের পর আমেরিকাতেই থাকতে শুরু করেন তারা। যদিও কমলার জন্মের পরবর্তী বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়ে গেলে মায়ের সাথেই বেড়ে ওঠেন এই বর্ষীয়ান মার্কিন রাজনীতিবিদ।
বাইডেনের হাতেই পেন্টাগনে নতুন ইতিহাস! প্রথম মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দায়িত্বে কৃষ্ণঙ্গ সেনানী