শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পোস্টারে সাংসদের ছবি! জল্পনা তৃণমূল নেতার বয়ান নিয়েও
প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার (trinamool congress) সংখ্যা। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন হেভিওয়েটরাও। শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari) মতো কোনও কোনও জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারও পড়ছে। কোনও জায়গায় পোস্টারে নেতার নাম করে লেখা থাকছে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তোমাকেও চাই।

শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার বর্ধমানের নতুন নতুন জায়গায়
এদিন বর্ধমানের নতুন নতুন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার পড়েছে। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে পোস্টারের ওপরে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও উক্তি, নিচে লেখা শুভেন্দু অধিকারী ফ্যান ক্লাব। তৃণমূলের দাবি বিজেপি কোনও এজেন্সিকে দিয়ে এসব করাচ্ছে। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

দুর্গাপুরে শুভেন্দু অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের নামে পোস্টার
এদিন দুর্গাপুর পুর নিগম এলাকায় সকালে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ছবি চোখে পড়ে। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য বর্ধমান পূর্বের সাংসদ হলে সুনীল মণ্ডল। এর আগে শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুনীল মণ্ডলের ব্যানার পোস্টারে লেখা সুনীলদা, আমরা শুভেন্দুদার সঙ্গে তোমাকেও চাই। নতুন করে এই পোস্টার, ব্যানারে সুনীল মণ্ডলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

বেসুরো সাংসদ
এব্যাপারে সুনীল মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টিকে মানুষের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ বলে উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, পোস্টার লিখতে কাকে বারণ করব? দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানিয়েছে তিনি বলেন, যে যাকে ভালবাসে তাঁর নামেই পোস্টার পড়ছে। তবে সবাইকে নিয়ে লড়াইয়ের ডাক তিনি দিয়েছেন। পাশাপাশি দলে পরিকাঠামোজনিক ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন তিনি। গুরুত্ব না দিলে বিপদ বাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
২০১১ সালে তৎকালীন বর্ধমানের গলসি বিধানসভা থেকে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৯-এ বর্ধমান পূর্ব থেকে জয়ী হন তিনি।

বিদ্রোহ দলের অন্দরমহলে
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বনমন্ত্রী। একসময়ে তাঁকে মমতা ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী বলেই সবাই জানতেন। কিন্তু ৫ ডিসেম্বর তাঁকে দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা যায়। বলা ভাল শুভেন্দু অধিকারীর পর জোরাল ভাবে। এরপরেই ছয় ডিসেম্বর উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সহ সততার প্রতীক এবং কাজের মানুষ, কাছের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে পোস্টার পড়ে। এরপর সোমবার নবান্নের সামনে-সহ হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়ে। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে বাঁকুড়া শহর।
বিদ্রোহীদের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে প্রতিদিন। তালিকায় যুক্ত হয়েছেন, রাজ্যের অপর মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, অতীন ঘোষের মতো নেতারা।
রোজই বাড়িতে আসেন শীলভদ্র দত্ত, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দাবি ঘিরে নতুন করে চড়ছে জল্পনার পারদ