সিডনি: দুরন্ত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেনি ক্যাপ্টেন কোহলি৷ শেষ টি-২০ ম্যাচ ১২ রানে হারায় অজিদের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল বিরাট কোহলির৷ ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে মিডল অর্ডার ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করলেন ভারত অধিনায়ক৷

২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায়কে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত৷ এবারও প্রথম দু’টি ম্যাচ জেতায় বিরাটের সামনে সেই সুযোগ ছিল৷ কিন্তু মঙ্গলবার তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় ধোনিকে ছোঁয়া হল না কোহলির৷ এর ফলে ২০২০-তে প্রথম টি-২০ ম্যাচ হারল ভারত৷

কোহলি বলেন, ‘একটা সময়, যখন হার্দিক দারুণ খেলছিল তখন ম্যাচ আমাদের হাতে ছিল৷ কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা আমাদের হারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ ৩০ রানের একটি পার্টনারশিপ আমাদের জয় সহজ দিতে পারত৷ আমরা ভেবেছিলাম, প্রতিপক্ষকে হারিয়ে আমরা ২০২০ মরশুমটা দারুণভাবে শেষ করব৷’ শেষ ম্যাচ হারলেও প্রথম দু’টি ম্যাচ জেতায় ২-১ টি-২০ সিরিজ জিতে নেয় ‘মেন ইন ব্লু’৷

১৮৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টিম ইন্ডিয়ার৷ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে এদিন বোলিং ওপেন করিয়েছিলেন অজি ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ৷ শুরুতেই লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় ভারত৷ ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ফর্মে থাকা রাহুলকে ডাগ-আউটে ফেরান ম্যাক্সওয়েল৷ স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ করার আগেই রাহুলের উইকেট হারায় ভারত৷

তবে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিরাট৷ ১২.৫ ওভারে একশো রানে পৌঁছে দিয়ে ভারতের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন কোহলি৷ দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ান ও কোহলির ৫১ বলে ৭৪ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ ফেরে ভারত৷ ধাওয়ান-বিরাট জুটিতে পাওয়ার প্লে-তে ৫৫ রান যোগ করে টিম ইন্ডিয়া৷ মাত্র ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করে এই জুটি৷

কিন্তু ধাওয়ান ব্যক্তিগত ২৮ রানে আউট হওয়ার পর দ্রুত আরও দু’টি উইকেট হারায় ভারত৷ সঞ্জু স্যামসন ১০ এবং প্রথম বলেই ডাগ-আউটের রাস্তা ধরেন শ্রেয়স আইয়ার৷ ৪১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভারত অধিনায়ক৷ ১০০ রানে চার উইকেট হারালেও বিরাটের সঙ্গে ইনিংসের হাল ধরেন হার্দিক পান্ডিয়া৷ পঞ্চম উইকেটে ২৫ বলে ৪৪ রান যোগ করে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিল বিরাট-হার্দিক জুটি৷

কিন্তু এদিন শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে দলকে জেতাতে পারেননি হার্দিক৷ ১৩ বলে দু’টি ছয় ও একটি বাউন্ডারি মেরে ২০ রানে অ্যাডাম জাম্পার বলে হার্দিক আউট হতেই ভারতের জয়ের সম্ভাবনা কমে যায়৷ বিরাট চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বিরাটকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ ফেরান অ্যান্ড্র টাই৷ ৬১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা-সহ ৮৫ রানে বিরাটের ডাগ-আউটে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়৷

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।