একটি কিডনি নিয়ে বিশ্ব কাঁপানোর রোমহর্ষক গল্প শোনালেন কিংবদন্তি অঞ্জু!
যখন বিশ্ব কাঁপিয়েছেন তখন বুঝতে দেননি। শরীরিক অক্ষমতাকে নিজের শক্তি বানিয়ে দেশকে একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন। কিংবদন্তির মর্যাদা পাওয়া ভারতীয় অ্যাথলিট অঞ্জু ববি জর্জ অবশেষে নিজের জীবনের এক নিষ্ঠুর সত্য প্রকাশ করলেন। শরীরে একটি কিডনি না থাকা সত্ত্বেও নিজের লড়াইয়ের গল্প বললেন কেরলের প্রাক্তন লং জাম্পার।

২০০৮ সালে অঞ্জু ববি জর্জকে শেষবার ট্র্যাকে দেখা গিয়েছিল। ১২ বছর নিজের জীবন যুদ্ধের কাহিনি শোনালেন কিংবদন্তি। রীতিমতো টুইট করে তিনি লিখেছেন, শরীরে মাত্র একটি কিডনি নিয়েই তিনি পৃথিবীতে আসেন। ফলে শৈশব থেকেই যে তাঁকে শরীরের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে, তাও জানিয়েছেন জর্জ। বলেছেন, কখনও তাঁর শরীরে অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ত তো কখনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফুলে যেত। এই অবস্থায় অনুশীলন তো দূর, তিনি বাড়ি থেকে বেরোতেও পারতেন না বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি। বক্তব্য, সেই কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি নিজের পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু সুলভ কোচকে পাশে না পেলে তিনি হয়তো এতদূর পৌঁছতে পারতেন না।

অঞ্জু ববি জর্জের এই সাহসিকতার গল্প পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কিংবদন্তি লং জাম্পারকে তিনি দেশের অনুপ্রেরণা বলে আখ্যা দিয়েছেন। রিজিজু স্মরণ করিয়েছেন যে শারীরিক প্রতিকূলতাক হারিয়েই একমাত্র ভারতীয় অ্যাথলিট হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে (২০০৩) ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন জর্জ। ২০০২ সালের এশিয়ান গেমস এবং ২০০৫ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন কেরলের লং জাম্পার।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য সাফল্যের জন্য ২০০৩ সালে অঞ্জু ববি জর্জকে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত করছিল ভারত সরকার। ২০০৪ সালে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন কেরলের অ্যাথলিট। পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্যও অঞ্জুর নাম মনোনিত হয়েছিল।