স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: খরচে রাশ টানতে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। এবার কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক- নার্সদের হোটেল খরচ আর বহন করবে না সরকার।

লকডাউনের সময় রাজ্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা বেশকিছু অতিরিক্ত সুবিধা পেতেন। এবার সেগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।আগামী সপ্তাহ থেকে এই সুবিধা পাবেন না সরকারি কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সিং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। তাঁদের বাড়ি থেকেই হাসপাতালে আসতে হবে। জেলার সরকারি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের বাড়ি থেকে আনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, “লকডাউন উঠে গিয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এমনকী, ট্রেনও চালু হয়েছে। তাই স্বাভাবিক নিয়মেই এই ব্যবস্থা সরকার প্রত্যাহার করে নিল। এখন থেকে এই ব্যবস্থা চালু থাকবে না।”

লকডাউনের সময় আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারি হাসপাতালে যাতে দ্রুত পরিষেবা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দূর থেকে যে-সব ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে আসতে হয়, তাঁদের জন্য হাসপাতালের কাছে হোটেলে থাকার ব্যবস্থার নির্দেশ দেন তিনি।

সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে কলকাতার তিন হোটেল-কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। চিঠিতে বলা হয়েছে, তাঁদের হোটেলে চিকিৎসকদের রাখা হবে। প্রথম পর্যায়ে বিবাদী বাগের ললিত গ্রেট ইস্টার্ন, ইএম বাইপাসের ধারে আইটিসি সোনার, হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল হোটেলকে বেছে নেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা সন্দেহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসক ও নার্সেরা তাঁদের চিকিৎসায় যুক্ত। লকডাউনের ফলে তাঁদেরও যাতায়াতে সমস্যা হবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সকলের কাছে সম্পদ। তাঁদের কাজ করতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না-হয়, সেই জন্যই হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে মোটা অঙ্কের খরচ সামাল দিতে এবার সেই চিকিৎসক-নার্সদের থাকার খরচ আর দেবে না সরকার ।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।