কলকাতা: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাংলা-সফর পিছোল। ৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ৯ তারিখ রাজ্যে আসছেন নাড্ডা। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।
ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এরাজ্যেও শাসক তৃণমূল, কংগ্রেস বামেরা কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে। সেই কারণেই নির্ধারিত দিনের ২৪ ঘণ্টা পরে রাজ্যে আসছেন নাড্ডা।
পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। চলতি ডিসেম্বর থেকেই বিজেপির ‘বাংলা দখলের লড়াই’ শুরু। জেলায়-জেলায় চলছে কর্মসূচি।
কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা-জেলায় ঘুরে কর্মীসভা, বৈঠক সারছেন। রাজ্য নেতারাও বিভিন্ন জেলায় ঘুরে -ঘুরে সংগঠনের কাজ দেখছেন। এই আবহেই ৯ তারিখ রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
বিধানসভা ভোটের মুখে আমজনতার দরবারে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্লকে-ব্লকে পৌঁছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রদান করা হচ্ছে শিবিরগুলি থেকে।
বিরোধী বিজেপি অবশ্য রাজ্যের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে চলেছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মতে, ‘রাজ্য সরকারের দুয়ারে কর্মসূচি উদ্যোগটি মরণকালে হরিনামের মতো’।
যদিও বিরোধীদের এই টিপ্পনিতে কান দিতে নারাজ শাসক তৃণমূল। গত ৫ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতারা। উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মানুষ আবারও তৃণমূলকেই ক্ষমতায় ফেরাবেন বলে আশাবাদী শাসকদলের নেতারা।