করোনা সংক্রমণ কমলেও কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় উদ্বেগ অব্যাহত মৃত্যু হারে
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনাজয়ীর সংখ্যা দু'লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কমছে সক্রিয়ের সংখ্যা। কিন্তু উদ্বেগ প্রশমিত হচ্ছে না মৃত্যু হার নিয়ে। সংক্রমণ কমলেও বাংলার এই দুই জেলায় দৈনিক মৃত্যু হচ্ছে একই হারে। করোনা সংক্রমণ দুই জেলাতেই লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলার অন্যান্য জেলায় সক্রিয়ের সংখ্যা আর এই দুই জেলার সক্রিয়ে সংখ্যা সমান সমান।


কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা
সোমবার বাংলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২১৪। কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৯৩। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৮৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা এদিনও খানিকটা কমেছে। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৯০ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ২০৭১।
একনজরে কলকাতার করোনা পরিসংখ্যান
সোমবার পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ১১২১৪৮। শুধু এদিনই কলকাতায় ৫৯৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ২৬৯০ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ১০৩৪৯৩ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৫৯৬৫ জন। এদিন কলকাতায় করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৫৬১ জন।
উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিসংখ্যান
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১০৫৮০৩ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৩ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ২০৭১ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৯৮৫৮৭ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৫১৪৫ জন। এদিন করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৫৭৭ জন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া-হুগলি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা আক্রান্তের নিরিখে এখন তিন নম্বরে উঠে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১২৬ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩৩২৮৩। হাওড়ায় মোট আক্রান্ত এখন পর্যন্ত ৩২২০৭ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ জন। হুগলিতে ১৪৩ জন বেড়ে আক্রান্ত ২৬০৫৮ জন।
অন্যান্য জেলায় করোনা পরিসংখ্যান
এছাড়া আলিপুরদুয়ারে ৭৩৭১, কোচবিহারে ১০৯৯৬, দার্জিলিংয়ে ১৬২০৬, কালিম্পংয়ে ১৯২৮, জলপাইগুড়িতে ১৩১৩৩, উত্তর দিনাজপুরে ৬০৪৪, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭৮৮৮, মালদহে ১১৮৩০, মুর্শিদাবাদে ১১১৩৯, নদিয়ায় ১৯৩০০, বীরভূমে ৮৫১০, পুরুলিয়ায় ৬৩৩৮, বাঁকুড়ায় ১০২২৬, ঝাড়গ্রামে ২৭২২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৮৫৩২, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৮৬৫৬, পূর্ব বর্ধমানে ১০৯৩৯, পশ্চিম বর্ধমানে ১৩৬৯২ জন মোট আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা।