চিনের ড্রাগন-দাপটে চোখ রাঙানি মোদী সরকারের! কোন ব্যবসায়িক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘিরে জল্পনা
ভারত -চিন দ্বন্দ্ব গত মে মাস থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে লাদাখ সংঘাতকে ঘিরে। মে মাসের দিকে লাদাখের পথে চিনের আগ্রাসনের প্রবল জবাব দিয়েছে মোদী সরকার। এরপরই পরিস্থিতি ক্রমেই আরও সংঘাতমুখী হয়। এদিকে, চিনকে শায়েস্তা করতে মোদী সরকার একের পর এক সিদ্ধন্ত কার্যত বাজিমাত করতে শুরু করেছে।

মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত ও চিনের মিডিয়া
চিনের মিডিয়ার এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, চিন থেকে ভারতে রপ্তানী ১৩ শতাংশ কমেছে। গত ১১ মাসে এমনই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। এদিকে, চিন পাল্টা ভারতের থেকে আমদানী কমাতে পারেনি। ভারত থেকে আগে চিনে যা রপ্তানী হত তার ১৬ শতাংশ বেশি রপ্তানী হচ্ছে এখন চিনে।

মোদী সরকারের
মোদী সরকারের চাণক্যনীতিতে কার্যত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দিল্লি এভাবেই আরও এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে দিয়েছে বেজিংয়ের ওপর। চিনের মিডিয়ার দাবি এটি জিনপিং সরকারের বদান্যতা যে ভারত -চিন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বেজিং রাজনৈতিক বিষয়কে টানেনি। তবে দিল্লি তা করেছে বলে অভিযোগ তাদের। যাকে কার্যত পাত্তাই দিচ্ছে না দিল্লি।

ভারতের পণ্যের রমরমা চিনের বাজারে!
এমন এক ধারণা আগেই ছিল যে চিনের পণ্যের রমরমা বহুকাল ধরে রয়েছে ভারতের বাজারে। অন্যদিকে, ভারতের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ,সার, অ্যান্টিবায়োটিক, রাসায়নিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চিনে। যা ভারত থেকে সর্বাধিক আমদানী করে চিন। আর সেই আমদানী লাদাখ সংঘাতের পরও চিন বন্ধ করতে পারেনি। যেখানে মোদী সরকার তা সহজেই করেছে।

ভারত থেকে চাল আমদানী
লাদাখ আবহে চিন ভারত থেকে আমদানী তো বন্ধ করতেই পারেনি, বরং তা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, প্রথমবার চিন, ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে। যাকে চিনের মিডিয়া সতর্কভাবে স্বাগত জানিয়েছে। চিনের মিডিয়ায় রিপোর্টে লেখা হয়েছে, যে চিন কেবলই দামের 'ছাড়' এর জন্যই এই চাল আমদানিতে রাজি হয়েছে।