নয়াদিল্লি : ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধ। সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ঝড় তোলার চেষ্টায় কৃষকরা। অবরোধ করা হবে দিল্লি ঢোকার প্রতিটি রাস্তা। কেন্দ্রের নতুন কৃষিবিলের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে বিক্ষোভ করা হবে। অল ইন্ডিয়া কিষাণ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রেম সিং ভাঙ্গু শনিবার জানিয়ে ছিলেন পঞ্চম দফা বৈঠকে কোনও সমাধান মেলেনি।
এদিকে, ৮ ডিসেম্বরের বনধে একাধিক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। ব্যাহত হতে পারে অটো ও ট্যাক্সি পরিষেবা। দিল্লি জুড়ে সাধারণ জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। দিল্লি ট্যাক্সি ট্যুরিস্ট ট্রান্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় সম্রাট জানান একাধিক ট্যাক্সি ইউনিয়ন এদিন রাস্তায় ট্যাক্সি না নামানোর পরিকল্পনা করেছে।
দিল্লি জুড়ে একাধিক বাস ও ট্যাক্সি সংগঠনও এই বিক্ষোভে সামিল হবে বলে জানিয়েছে। দিল্লি অটো রিকশ সংঘের সাধারণ সচিব রাজেন্দর সোনি জানিয়েছেন এদিন বেশ কয়েকটি অটো ইউনিয়ন বিক্ষোভে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
ব্যাহত হবে ব্যাংকিং পরিষেবা। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে গোটা ভারতের এই বিক্ষোভে সামিল হওয়া উচিত। ব্যাংক পরিষেবা এদিন বন্ধ থাকবে দিল্লি জুড়ে। এর প্রেক্ষিতে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভে তাঁরা সমর্থন জানায়, কিন্তু ভারত বনধের বিরোধী তাঁরা। কোনও ধরণের বনধ বা অবরোধকে তৃণমূল সমর্থন করে না।
এদিন দিল্লি জুড়ে ব্যাহত হতে পারে দুধ, সবজির সরবরাহ। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন দিল্লিবাসী। দিল্লি পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বনধেই সমর্থন জানিয়ে সামিল হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কমল হাসানের মাক্কাল নিধি মইম বা এমএনএম দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।
কৃষক বিক্ষোভের মূল দাবি মেনে বিতর্কিত কৃষি বিল পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে এই আবেদন জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি বা আরএলপির প্রধান ও সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল জানিয়েছেন তাঁর দলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কৃষক বিক্ষোভের প্রতি।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এমনকী তাঁদের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। এদিন কৃষকদের মনোবল চাঙ্গা করতে শীতের রাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় পড়ুয়ারা কাটিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। রাস্তায় বসিয়েই বিক্ষোভকারী কৃষকদের খাবার পরিবেশন করেছেন পড়ুয়ারা।