দীর্ঘায়িত হতে চলেছে অচলাবস্থা! কেন্দ্রের 'পদক্ষেপে' আরও জোরালো হতে পারে কৃষক আন্দোলন
বহু দর কষাকষির পর মাথা কিছুটা হলেও নত করতে স্বীকার করেছে কেন্দ্র। কৃষি আইনগুলিতে সরকার বেশ কয়েকটি সংশেধনী আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রের কাছে লিখিত জবাব দাবি করেছিলেন আন্দোলনকারীর কৃষকরা। এই পরিস্থিতি বুধবার ফের বৈঠক বসবে। তবে কৃষকদের দাবি মতো আইন সংশোধনীর খসরা হয়ত আন্দোলনকারীদের দেখানো হবে না কেন্দ্রের তরফে। যা ঘিরে ফের কেন্দ্র-কৃষক অচলাবস্থা ধীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে।

দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক করেন কৃষকরা
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে বৈঠক করেন কৃষকরা। পঞ্চম দফার বৈঠকে বেশ কিছু সমাধান সূত্রে মিলেছে বলে সূত্রের খবর। কৃষকদের যেসব দাবি কেন্দ্র মেনে নিতে রাজি হয়েছে, সেসব লিখিতভাবে দিতে বলেছেন কৃষকদের প্রতিনিধি দল। ৯ ডিসেম্বর (বুধবার) ফের কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র।

আলোচনার সমস্ত পথ খোলা রেখেছিল কেন্দ্র
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে লাগাতার প্রতিবাদ চালাচ্ছেন কৃষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনায় বসতে রাজি হননি তাঁরা। যদিও তাঁদের সঙ্গে আলোচনার সমস্ত পথ খোলা রেখেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলোচনার স্বপক্ষে বার্তা দেন। শেষপর্যন্ত রাজি হন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ছিল পঞ্চম দফার বৈঠক।

কৃষকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ তুলে নেবেন কোন শর্তে?
জানা যায়, আগের কয়েকটি বৈঠকের তুলনায় এবারের বৈঠক ইতিবাচক ছিল বলে সূত্রের খবর। শনিবারের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও অন্যরা। কৃষকদের তরফে বিভিন্ন ইউনিয়নগুলি গতকালই একমত হয় যে, কেন্দ্র তাঁদের দাবিদাওয়া মেনে নিলে কৃষকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ তুলে নেবেন।

আইন প্রত্যাহার সম্ভব নয়!
এদিকে কৃষকদের দাবি, কৃষকদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবছে তা না জানা পর্যন্ত পুনরায় আলোচনায় বসবেন না বলে জানান তাঁরা। কেন্দ্রের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করে জানানো হয়, আইন প্রত্যাহার সম্ভব নয়। তাতে সংশোধনী আনা যেতে পারে। তবে পাঞ্জাবের কৃষকরা আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
কৃষক আন্দোলনে 'খালিস্তানি' যোগ?, খোদ রাজধানীতে ধৃত ISI-এর মদতপুষ্ট পাঁচ জঙ্গি