শিলিগুড়ি: উত্তরকন্যা অভিযানে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এমনকি তার গাড়িতে বোমা মারা হয়েছে বলে দাবি কৈলাসের৷
এদিকে শিলিগুড়ির আন্দোলনের আঁচ পড়ল কলকাতাতেও৷ দলীয় কর্মীর মৃত্যু ও মিছিলে হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল বিজেপির৷ এছাড়া শিলিগুড়ির হামলার ঘটনা রাজ্যপালকে জানাতে রাজভবনে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা৷ হামলার অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি বিজেপির৷
এদিকে রাজ্য পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,‘সোমবার শিলিগুড়িতে, একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় মারাত্মক হিংসাত্মক কার্যকলাপ করেছেন। তারা অগ্নিসংযোগ, ইট-বৃষ্টি, গুলি চালানো এবং সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর করছেন।
পুলিশ সংযম দেখিয়েছে এবং লাঠিচার্জ বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেবল জল কামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে৷’
যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ,একেবারে নন্দীগ্রামের কায়দায় এদিন হামলা হয়েছে। পুলিশের ভিড়ে মিশে ছিল তৃণমূলকর্মীরা৷ ছাদ থেকে বোমা ছুঁড়েছে পুলিশ৷ তাছাড়া পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ এই মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে উত্তরবঙ্গে রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন ‘উত্তরকন্যা’ অভিযানে নামে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড়। অভিযোগ,আচমকা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। শুরু হয় পুলিশ-বিজেপি কর্মী ধস্তাধস্তি৷ তাছাড়া মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ করেছে বলেও অভিযোগ৷ পাল্টা অভিযোগ পুলিশের,তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বিজেপি কর্মীরা৷