২০২১-এর লক্ষে নতুন শপথ, নতুন নাম! কাজের জন্য রাশিয়া, আমেরিকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই, বললেন মমতা
গান্ধীর হত্যাকারীদের সামনে বাংলা মাথা নত করবে না। মাথা নত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস ( trinamool congress)। এদিন মেদিনীপুরের সভা থেকে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। এদিন তিনি ২০২১-এর নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের নতুন স্লোগানও বেঁধে দেন।

২০২১-এর লক্ষে তৃণমূলের নতুন শপথ
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরের সভা থেকে দলে বেসুরোদের বার্তা দেন। তিনি বলেন, মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্গে তিনি ২০২১-এর জন্য তৃণমূলের শপথও ঠিক করে দেন। তিনি বলেন, সবাইকে শপথ নিতে হবে জনগণ আছে সঙ্গে, তাই তৃণমূল কংগ্রেস ২১ এ আসবে বঙ্গে। তিনি বলেন, কোনও প্ররোচনার কাছে মাথা নত করবেন না। কোনও অত্যাচারের কাছে মাথা নত করবেন না।

রাজ্যে কাজের অভাব নেই
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। কাজের জন্য আর রাশিয়া, আমেরিকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেউচা আছে কাজের অভাব হবে না।

দীর্ঘদিন টালবাহানার পরে প্রকল্পে অনুমোদন
বীরভূমের দেউচা পাচামি কয়লাখনির কাজে দীর্ঘদিন টালবাহানার পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে। ৩৫০০ একর এলাকা জুড়ে ৩৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরাতে হবে। জুলাই মাসে এই প্রকল্পে জট কাটার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তৎকালীন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, পুজোর পরেই প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে। মূল কাজ শুরু হতে একবছর সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

কাজ মিলেছে পরিযায়ীদেরও
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের সভা থেকে বলেন, রাজ্যে আসা পরিযায়ীদের ১০০ দিনের কাজ দিয়েছে সরকার। তিনি আরও দাবি করেন, দেশের বিভিন্ন অংশে আটকে পড়া পরিযায়ীদের ঘরে ফেরাতে ৩০০ ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। টিকিট খরচ বাবদ সরকার ৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ছত্রধর মাহাত, অখিল গিরিদের নাম
এদিন মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্য অধিকারী পরিবারের কারও নাম নেনি। প্রথমেই তিনি উল্লেখ করেন ছত্রধন মাহাতর নাম। তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে তাঁকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর তাঁকে ১২ বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। এদিনের সভাকে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধিত ব্রিগেড বলেও অ্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন রাস্তায়ও অনেক লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে অখিল গিরির নাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা ভাল, পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত অখিল গিরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন বলতে শোনা যায়, যখন তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করা হয়েছিল, তখন কাঁথি থছেকে অখিল গিরি লড়াই করেছিলেন। কিন্তু হেরে গেলেও দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি।
একযোগে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে আক্রমণ! তৃণমূলকে কেনা যাবে না, মেজাজ হারিয়ে আর যা বললেন মমতা