নয়াদিল্লি : রাজধানী দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ফাঁস। সোমবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার ৫ জঙ্গি। নয়াদিল্লির শাকেরপুর এলাকা থেকে এনকাউন্টারের পর এদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, একটা জঙ্গিদল দিল্লিতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে বলে খবর পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ধৃত পাঁচ জঙ্গি ওই দলেরই সদস্য। তবে দলে ঠিক কতজন জঙ্গি ছিল, সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েচে, তার মধ্যে তিনজন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা। বাকি দুজন পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।

রিপোর্ট বলছে স্পেশাল সেলের অফিসারদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পরে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়। প্রচুর অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তাদের থেকে। যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই পাঁচজন হল সাব্বির আহমেদ, আয়ুব পাঠান, রিয়াজ রাঠার, গুরজিত সিং ও সুখদীপ সিং।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের মধ্যে একজন শৌর্য চক্র পদকে সম্মানিত বলবিন্দর সিংয়ের হত্যায় যুক্ত। পঞ্জাবে খুন করা হয় বলবিন্দর সিংকে। তবে যে জঙ্গি এর সঙ্গে যুক্ত, তার ভূমিকা এখনও জানা যায়নি। কুড়ি দিন আগে দিল্লি পুলিশ আরেকটি বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস করেছিল। দুই জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির খান মার্কেট থেকে। তাদের কাছ থেকে দুটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল ও ১০টি তাজা বুলেট মিলেছিল।

অক্টোবর মাসেও দিল্লি থেকে ৪ কাশ্মীরি যুবককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। অভিযোগ ওই চার যুবক রাজধানীর বুকে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছিল। বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, সেন্ট্রাল দিল্লির আইটিও এলাকা থেকে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে চারটি অত্যাধুনিক পিস্তল এবং ১২০ রাউন্ড গুলি ওই সময় উদ্ধার করা হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আলতাফ আহমদ দার (২৫) পুলওয়ামার বাসিন্দা। বাকি ৩ জন, মোশতাক আহমদ গণি (২৭), ইশফাক মাজিদ কোকা (২২) এবং আকিব সাফি (২২)-এরা প্রত্যেকেই শোপিয়ানের বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, ইশফাক মাজিদ কোকা জঙ্গি বুরহান কোকার বড় ভাই, এই বুরহান কোকা ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে আল কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর শাখা আনসার গজওয়াত উল হিন্দ-এর প্রাক্তন প্রধান। চলতি বছরের এপ্রিলে সেনার হাতে খতম হয় বুরহান।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।