'ভোট না দিলে কেড়ে নেওয়া হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড', তৃণমূল নেতার মন্তব্যে বিতর্ক
'ভোট না দিলে নিয়ে নেওয়া হবে 'স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড' ভাঙ্গরে তৃণমূল নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লকে।

জানা গিয়েছে, এদিন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আসেন ভাঙড়ের তৃণমূল প্রধান মোদাচ্ছের হোসেন। সকলকে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড নিন আর তৃণমূলকে ভোট দিন। যারা আমাদের ছেড়ে অন্য ছাতার তলায় যাবেন তাদের কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে।'
সোমবার ভাঙড়ের চিলেতলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মঞ্চে এই কথা বলে বিতর্কে জড়ান প্রধান। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ এর বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আরাবুল ইসলাম প্রমুখ। আরাবুল বলেন, 'সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড দিচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই।
অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ভাঙড়ের বিজেপি নেতারা।এলাকার বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, 'প্রধান জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন না। উনি অশিক্ষিত, ভোটের রাজনীতি করছেন।সরকার সবার জন্য কাজ করে।সরকারি প্রকল্প কোন দলের ব্যক্তিগত সম্পদ নয়।'
এদিন ভাঙড় ২ ব্লকের চালতাবেড়িয়া ও ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই কর্মসূচী হয়। উপভোক্তাদের সুবিধার্থে গোটা প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বর সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। পর্যাপ্ত পানীয় জল, চায়ের পাশাপাশি খিচুড়ির ব্যবস্থা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য।
সবকিছু ঠিকঠাক চললেও সুর কাটল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মঞ্চে বিডিও, আরাবুল, ওহিদুল, নান্নু সবাই সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখলেও মোদাসের সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করেন। মোদাসের বলেন, 'দিদির দেওয়া এই কার্ড দেখিয়ে ৫ লাখ পর্যন্ত টাকা পাওয়া যাবে চিকিৎসার জন্য। তাই ভোট দেওয়ার সময় যেন এই কথা মাথায় থাকে। এখান থেকে (তৃণমূল) কার্ড নেবে আর ভোটের সময় অন্য দলের ছাওয়ায় যাবে সেটা করা যাবে না"।
সোনা কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন অভিষেক পত্নী রুজিরা