স্তব্ধ দিল্লি, আরও প্রবল আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রত্যয়! বনধের প্রস্তুতি তুঙ্গে
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের এই আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল। সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত। এই নিয়ে আজ ১২ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলকারীদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে যান স্বয়ং অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্তে
কৃষি আইনের বিরোধিতায় হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত করেছেন। এদিকে আগামীকাল, মঙ্গলবার কৃষকরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। তার আগে বিক্ষোভস্থানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি , কৃষকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও খতিয়ে দেখন তিনি।

কৃষকদের অনড় অবস্থান
কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আন্দোলন করলে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র। কিন্তু তাঁর এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কৃষক সংগঠনগুলি। বিক্ষোভ জারি রাখে তারা। কৃষকদের অভিযোগ ছিল যে বুরারির যেই মাঠে তাদের অবস্থান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেটি আসলে একটি 'খোলা জেল'।

কৃষকদের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে
এরপর সরকারের সঙ্গে কৃষকদের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনায় তারা তিনটি আইন-ই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে৷ কিন্তু সরকার আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ কৃষকরা।

আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন মমতার
এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনধের অংশ হিসেবে হাইওয়ে টোল গেটগুলিতে অবরোধ করবেন কৃষকরা৷ সরকারকে কোনও প্রকার টোল আদায় করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷
কৃষক আন্দোলনে 'খালিস্তানি' যোগ?, খোদ রাজধানীতে ধৃত ISI-এর মদতপুষ্ট পাঁচ জঙ্গি