পানাজি: এটিকে-মোহনবাগানের চারে চার করার লক্ষ্যে জল ঢেলে মরশুমে প্রথম জয় তুলে নিল জামশেদপুর এফসি। ভাস্কোর তিলক ময়দানে মেন অফ স্টিলে’র কাছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড হারল ২-১ গোলে। মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে বাজিমাত করে গত মরশুমে ফাইনালে হারের বদলা নিলেন ওয়েন কয়েল। এটিকে-মোহনবাগানকে হারিয়ে ব্রিটিশ কোচ যেমন তৃপ্ত ঠিক তেমনই মরশুমে প্রথম হার সহজে মানতে পারছেন না এটিকে-মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
সোমবার ম্যাচ শেষে সেট-পিস থেকে দলের গোল হজম করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন দু’বারের আইএসএল জয়ী কোচ। গত মরশুমে মাত্র একটি ক্ষেত্রে সেট-পিস থেকে গোল হজম করেছিল এটিকে-মোহনবাগান। কিন্তু চলতি মরশুমে একটি ম্যাচেই সেটপিস থেকে জোড়া গোল হজম করে ফেলল তাঁর দল। হাবাস বলছেন, ‘গত মরশুমে সেটপিস থেকে আমাদের বিরুদ্ধে মাত্র একটি ক্ষেত্রে গোল হয়েছিল কিন্তু এবার এক ম্যাচেই দু’টো হজম করলাম সেট-পিস থেকে। আমাদের প্র্যাকটিসে বিষয়টাতে মনোযোগী হতেই হবে।’
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে হারের জন্য এটিকে-মোহনবাগানের ডিফেন্সিভ স্ট্র্যাটেজিকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে। কিন্তু হাবাস মনে করেন সেটা ঠিক নয়। কারণ তাঁর দল জামশেদপুরের বিরুদ্ধে কাউন্টার-অ্যাটাক করতে পারেননি বলেই মনে করেন স্প্যানিশ কোচ। হাবাসের কথায়, ‘আজ (সোমবার) আমাদের পক্ষে কাউন্টার-অ্যাটাক করা সম্ভব ছিল না কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ লম্বা বল খেলছিল। আর আমি মনে করি মানুষ যে বলে এটিকে-মোহনবাগান কাউন্টার-অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে, সেটা সর্বৈব মিথ্যা।’
এদিকে এটিকে-মোহনবাগানের পালতোলা নৌকো থামিয়ে তৃপ্ত জামশেদপুর এফসি কোচ ওয়েন কয়েল। ম্যাচ জিতে ব্রিটিশ কোচ জানালেন রয় কৃষ্ণার গোলটা ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। কয়েলের কথায়, ‘আমাদের ২-০ গোলে জেতা উচিৎ ছিল ম্যাচটা। কৃষ্ণা এক গজ অফসাইডে থেকে গোলটা করেছে। আমরা যোগ্য হিসেবেই জিতেছি ম্যাচটা। একটা শীর্ষে থাকা দল, একটা অপরাজিত দল, একটা এমন দল যারা গোল হজম করেনি তাদের বিরুদ্ধে এই জয় অবশ্যই তৃপ্তির। তবে আমাদের কাছে তিন পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ দু’টো ম্যাচে যেটা আমাদের হাতছাড়া হয়েছিল।’