ভাইপোর নেতৃত্বে গোটা রাজ্য হিংসা সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে! বিস্ফোরক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
'ভাইপোর নেতৃত্বে সারা রাজ্যে হিংসা সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে। আমাদের ১৩০ জন কর্মী খুন হয়েছে। তৃণমূল আর মমতার সরকারের প্রশয়ে বাংলায় মাফিয়া, গুন্ডারা অরাজকতার সৃষ্টি করেছে। বারাবনির ঘটনা ছোটো ঘটনা নয়। শান্তিপুর্ন আন্দোলন পুলিশ আর গুন্ডা দিয়ে দামানোর চেষ্টা করছে। আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবী করছি।' শনিবার দুর্গাপুরে গুলিবিদ্ধ দলীয় কর্মীকে দেখতে এসে ঘটনার কড়া নিন্দা করে এমনই দাবী করলেন বিজেপির রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

শনিবার আসানসোলের বারাবনিতে 'আর নয় অন্যায়' স্লো-গানকে সামনে রেখে মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপির যুব মোর্চা। বারবনির জামগ্রামে মিছিল শুরু হতেই বিজেপিকর্মীদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। গুলি ও বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ৫ জন বিজেপিকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে কালিচরন দাস নামে গুলিবিদ্ধ এক বিজেপিকর্মীকে দুর্গাপুরে এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে আহত দলীয় কর্মীকে দেখতে এদিন বিকালে দুর্গাপুরে আসেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এদিন আহত কর্মীকে দেখে হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় রাজ্য সরকার ও পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমন করে বলেন," ভাইপোর নেতৃত্বে সারা রাজ্যে হিংসা সাম্রাজ্যে পরিনত হয়েছে। সারা রাজ্যে ১৩০ জন বিজেপিকর্মী খুন হয়েছে। তারজন্য দায়ী তৃণমূল আর মমতা ব্যানার্জীর সরকার। ভাইপোর প্রশয়ে রাজ্যে মাফিয়া আর গুন্ডারা অরাজকতার সৃষ্টি করেছে।" তিনি আরও বলেন," রাজ্যে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই জারি থাকবে। তারজন্য আমরা কখনই হিংসার সাহায্য নিই না। ভবিষ্যতেও নেব না। গণতন্ত্রে হিংসার কোন স্থান নেই। গনতন্ত্রে হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।"
এদিন বারাবনির ঘটনা টেনে তিনি বলেন," এটা ছোটো ঘটনা নয়। শান্তিপুর্ন আন্দোলনে এরকম পুলিশ আর গুন্ডা দমানো চেষ্টা করেছে। আমরা বরদাস্ত করব না। রাজ্যে যেরকম অরাজকতা চলছে, তার বিরুদ্ধে বিজেপি সারা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করবে।" এদিন তিনি পুলিশের ভুমিকায় নিয়ে কড়া আক্রমন করে বলেন," পুলিশের রাজনীতিকরন দেখেছি। কিন্তু এখানে অপরাধীকরন। অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের সাটঘাট আছে। পুলিশের জানাছিল বিজেপির মিছিল বেরোবে। পুলিশের উপস্থিতিতে গুলি বোমা চলল। এটা অরাজকতা ছাড়া কি বলা যায়। এটা বাংলাতে হতে পারে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। রাজ্যে রাষ্ট্রপতিশাসনের দাবী করছি।"