নয়াদিল্লি: নতুন এক আশঙ্কা। একদিকে যখন ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে, তখন পরীক্ষামূলক ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন খোদ হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শনিবার ট্যুইট করে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন অনিল ভিজ। তিনি এদিন লিখেছেন, তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের পরীক্ষা করার কথা বলেছেন তিনি।

গত ২০ নভেম্বর করোনা ভাইরাসের পরীক্ষামূলক ভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন এই মন্ত্রী।কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আক্রান্ত হয়ে পড়লেন তিনি।

সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই মন্ত্রী। ওই হাসপাতালেই তিনি কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ নিয়েছিলেন। কোভ্যাক্সিনের ফেজ থ্রি ট্রায়ালের প্রথম ভলান্টিয়ার ছিলেন অনিল ভিজ। ভারতে সবথেকে বড় ফেজ থ্রি ট্রায়াল হয়েছে।

ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর তৈরি করেছে এই কোভ্যাক্সিন। ফেজ ১ ও ফেজ ২ ট্রায়ালের সাফল্যের কথা আগেই জানিয়েছিল সংস্থা।

যদি ফেব্রুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনকে লঞ্চ করা হয়, তবে এটিই হবে দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। এর আগে হায়দরাবাদের এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দোসরা অক্টোবর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট জমা দেয় ডিজিসিআইয়ের কাছে। তারপরেই সেটি সফল বলে ঘোষণা করা হয়। অনুমতি মেলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের।

ভারত বায়োটেক আগেই জানিয়েছিল, দ্বিতীয় ট্রায়ালে ১৯টি জায়গায় পরীক্ষা চলেছে, ১৮ বছর বয়েসী ও তার থেকে বড় বয়সের মানুষের ওপর। ২৮৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন।দিল্লি, মুম্বই, পাটনা ও লখনউ সমেত ১০ টি রাজ্যে এই ট্রায়াল চলে বলে জানা গিয়েছে।

ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ জানিয়েছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত গাইড লাইন মেনেই কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে। এটি কার্যকরী ও নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে দ্বিতীয় ট্রায়াল পর্যন্ত। তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত এই ভ্যাকসিন।

ভারতের বাজারে যখনই কোভ্যাক্সিন আসবে, তা প্রাথমিকভাবে মানব শরীরে ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে বলে জানায় ভারত বায়োটেক। প্রথম পর্যায়ে সেই ভ্যাকসিন অন্তত ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে মানব শরীরে।

ভারত বায়োটেক ছাড়াও জাইডাস ক্যাডিলা তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনেকা’র সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।