স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের বিলম্বে হতাশ মতুয়া মহাসমাজ। কদিন আগেই ঠাকুরনগরে রাস উৎসব মতুয়াদের এই মনোভাবই জানিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

শনিবার বারাসতের কামাক্ষ্যা মন্দিরে পুজো দিয়ে মতুয়াদের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

বললেন, জানুয়ারি থেকেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ মোদী সরকার শুরু করবে। তৃণমূলের দুয়ারে দুয়ারে কর্মসূচির পাল্টা গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। বারাসতে এই কর্মসূচির সূচণায় গিয়ে ফের সিএএ নিয়ে সরব হলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

এদিন কৈলাশ বলেন, “মোদী সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা তারা অবশ্যই পালন করবে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে আটকে রাখতে পারবে না।

জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার শুধু ৩০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ মানুষের দিকে তাকাচ্ছেই না।”

উল্লেখ্য, শান্তনু ঠাকুর সেদিন বলেছিলেন, ‘‘কেন নাগরিকত্বের জন্য আমাদের ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে বার বার? কেন আন্দোলন করতে হচ্ছে বার বার? কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি— সকলের কাছে আমরা ভিক্ষা চেয়েছি। অধিকার কেউ দেবে না। অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’’

বনগাঁর বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক লোকেরা আমাদের পিছিয়ে রেখেছেন। যদি সুযোগ আসে, দেখাব, রাজনৈতিক ময়দান দখল করার ক্ষমতা কাদের আছে। কোনও রাজনৈতিক দলের কথা মতো আমরা চলব না। কিছু দিন আরও অপেক্ষা করব।

তার পরেও নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ না হলে মতুয়ারা তাঁদের মতো ভাববেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মতুয়াদের যদি মাছের চার দেওয়া হতে থাকে, তাতে আগামী দিনে মতুয়ারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আমি মতুয়াদের কথাই শুনব। থোড়াই রাজনীতির কথা শুনব! আমাদের নিয়ে যারা রাজনীতি করছে, তাদের লাভ হবে না।’ দলের সাংসদের এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছিল বিজেপির।

এদিন কৈলাশ বলেন, “সোনার বাংলা তৈরি হয়নি। অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে।” এই সরকার ৩০ শতাংশ লোকের জন্য ভাবে বলেও কটাক্ষ তাঁর। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র দাবি, “বিজেপি ১০০ শতাংশ লোকের কথা ভাবে। শিল্প, কর্মসংস্খান হবে। রাজনীতিতে হিংসা থাকবে না।”

জেলবন্দি তথাকথিত অপরাধীদের আলোর জগতে ফিরিয়ে এনে নজির স্থাপন করেছেন। মুখোমুখি নৃত্যশিল্পী অলোকানন্দা রায়।