এবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বার্তা, আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও চাপে মোদী সরকার!
আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আজ ফের আলোচনায় বসে কেন্দ্র। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এর জেরে সরগরম রাজধানী ও তার সংলগ্ন এলাকা। এই পরিস্থিতিতে এদিন কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের তরফে। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন স্বয়ং রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললে তা চলতে দেওয়া উচিত
দিল্লি সীমান্তে চলতে থাকা কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এদিন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টেফ্যান দুজারিচ বলেন, 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চললে তা চলতে দেওয়া উচিত।' এদিকে এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সহ ব্রিটেনের ৩৬ জন সাংসদ এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির তরফে বারংবার বলা হয়েছে যে আন্তর্জাতিক নেতারা এই বিষয়ে আর্ধ সত্য জেনে মুখ খুলছে।

আইন সংশোধনীর ইঙ্গিত
এদিকে কেন্দ্র যদি তাদের সব দাবি না মেনে নেয় তাহলে এদিন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন কৃষক নেতারা। এর আগে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সঙ্গে এক দফা বৈঠকে বসেছিলেন কৃষক প্রতিনিধিরা। বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন সংক্রান্ত কিছু সংশোধনীর ইঙ্গিত দেওয়া হয়। অন্যদিকে কৃষকনেতারা সরকারকে সংসদে একটি বিশেষ অধিবেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় থাকেন।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই আলোচনার পর বলেছিলেন, কেন্দ্র কৃষকদের বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছে। কৃষকদের আরও আইনি অধিকার দেওয়ার কথা ভাববে সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থাকবে। বৈঠকে উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে সরকার আলোচনা করবে এবং আশা করা হচ্ছে, পরবর্তী আলোচনায় চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।

অনড় কৃষকরা
প্রসঙ্গত, এর আগে ১ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় কৃষকরা সরকারের পক্ষ থেকে চায়ের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা সরকারের কাছ থেকে তাঁদের অধিকারের দাবিতে এসেছেন, চা পান করতে নয়।
বিজেপির পাশাপাশি দল ভাঙাচ্ছে মিম, উত্তরবঙ্গে সংখ্যালঘুদের সমর্থন হারিয়ে শঙ্কায় তৃণমূল!